দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ মে: আসন্ন বাজেটে প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীদের চাহিদা অনুযায়ী দিতে না পারলেও ভাতার পরিমাণ আগের চেয়ে বেশি হবে।সোমবার দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের নেতাদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ কথা জানান মন্ত্রী।মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে যেসব মন্ত্রণালয় কাজ করছে নিজ উদ্যোগে তাদের কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। শুধু সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করা চলবে না। এজন্য প্রথম পর্যায়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ধর্ম, খেলাধুলা এবং তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবন্ধী বিষয়ক যেসব কার্যক্রম আছে তা তাদেরকেই বাস্তবায়ন করতে হবে।এ সময় মন্ত্রীর কাছে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বরাদ্দ বিষয়ক একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম।প্রস্তাবনায় আসন্ন বাজেটে মন্ত্রীর কাছে চার হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানানো হয়।
এ সময় সংসদ সদস্য কাজী রোজী বলেন, প্রতিবন্ধী ফোরামের দাবি খুব বেশি নয়। মন্ত্রী চাইলে এটা দিতে পারেন।জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি সাইদুল হক বলেন, নবম জাতীয় সংসদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার আইন ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন ২০১৩ পাস করা হয়েছে। আইন দুটি কার্যকর করতে বিধিমালা বাস্তবায়ন করতে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।তিনি বলেন, দেশে প্রতিবছর ৩৩ কোটি নতুন বই দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে আমাদের জন্য দুই কোটি বই দেওয়া কোনও ব্যাপার নয়। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার প্রতিবন্ধী সংগঠনগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হলে তারা আরও ভালো কাজ করতে পারবে।সংগঠনের সাবেক সভাপতি রজব আলী খান বলেন, সকল প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার আওতায় আনতে উপবৃত্তি বাড়ানো দরকার। প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দকৃত চাকুরির কোঠা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এছাড়াও ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হচ্ছে।এ সময় প্রতিবন্ধী ফোরামের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনবছর আগে সরকার প্রতিবন্ধী জরিপ করতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করলেও এখনও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী বলে জানায় ফোরাম।