দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ মে: পুলিশ কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্ছনার পতিবাদে ও দোষী পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে রোববার বেলা ৩টার কিছু আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফারজানা ইসলাম এসে ওই পুলিশ সদস্যের শাস্তির আশ্বাস দেওয়া হলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তপন কুমার সাহা জানান, শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের আইজি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফারজানা ইসলাম চিঠি দিয়েছেন।
এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাকিব আহমেদকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সার্জেন্ট ইমরানকে ট্রাফিক বিভাগ থেকে ডিএমপি সদর দপ্তরে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরাকার রোববার দুপুরে এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, এ ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। একটি কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন উত্তরা জোনের ডিসি ইকবাল হোসেন। অপরটির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ডিসি কুদ্দুস আমীন।শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার উত্তরার হাউজ বিল্ডিংয়ের পাশে পুলিশ সার্জেন্টের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন জাবি অধ্যাপক রাকিব আহমেদ।
প্রতিবাদে রোববার দুপুর ১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ছাত্র-শিক্ষকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে। এ সময় মহাসড়কের উভয়পাশে কয়েকশ’ গাড়ি আটকা পড়ে। শুরু হয় যানজট।রাকিব আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, বারবার অনুরোধ করা হলেও তারা আমার সঙ্গে এমন আচরণ করবে সেটা ভাবতেও পারিনি। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষাও আমার জানা নেই। এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আমি আইনের প্রতি বরাবরই শ্রদ্ধাশীল। আইন কী ব্যবস্থা নেবে সেটাই দেখার বিষয়।শনিবার রাতে সিলেটে হযরত শাহজালালের (রা.) মাজার জিয়ারতের উদ্দেশে রাকিব আহমেদ বাবা-মাকে নিয়ে ভাড়া করা মাইক্রোযোগে বিমানবন্দরে রেলস্টেশন যাচ্ছিলেন।উত্তরার হাউজ বিল্ডিংয়ের কাছে পৌঁছলে সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট ইমরান লাইসেন্স পরীক্ষার জন্য মাইক্রোবাসটি আটক করে। পরে কাগজপত্র ঠিক নেই বলে গাড়ি জব্দ করা হয়।