দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ মে: মানবপাচারে জড়িতদের তালিকা সরকারের কাছে আছে— তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।জড়িত ব্যক্তি যেই হোক না কেন শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবেএ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাছাড়া মানবপাচারের ঘটনায় জড়িতদের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। মন্ত্রী রোববার ঢাকায় দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার এক দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন । প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এই ঘটনার আগেও প্রায় এক হাজার দুইশ বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন সময়ে দেশটিতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হয়। তাদের মধ্য থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আটশ জনকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। কিন্তু ফেরত আসার পর তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। এমনকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তাদের তালিকা পর্যন্ত নেই। এই ফেরত আসাদের অনেকেই আবারও অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার পথে পা বাড়ায় বলে জানায় দূতাবাস সূত্র।
তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে থাই জঙ্গলে বাংলাদেশি উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় এবার নড়ে বসেছে সরকার। বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত এবং সন্দেভাজন মানবপাচারকারীদের তালিকা নিয়ে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় কক্সবাজারের টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধ-এ তিনজন সন্দেহভাজন মানবপাচারকারী নিহত হয়েছেন।এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বার বার মানবপাচার কমে আসার বিষয়টি উল্লেখ করা হলেও জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন দিয়েছে, আরো ভয়াবহ তথ্য। সংস্থাটি বলছে, এ বছরের প্রথম তিন মাসেই সমুদ্রপথে ২৫ হাজারের মতো বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা পাচারের ঘটনা ঘটেছে। এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মূলত পাচারকারীরা কক্সবাজারের দুটি পয়েন্ট টেকনাফ ও শাহপুরী ব্যবহার করে। সেখানে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনসহ অন্যান্য পয়েন্টেও পাহারা জোরদার করা জরুরি। এছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় আসামিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে। কারণ, সামান্য কিছু পাচারকারীর লালসার শিকার হচ্ছে, দেশের খেটে খাওয়া মানুষেরা।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলে, বাংলাদেশের গণমাধ্যম যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি স্বাধীন। অবাধ মত প্রকাশে সাংবাদিকগন স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। কোন গণমাধ্যম অতীতে এর চেয়ে বেশি স্বাধীনতা পায়নি। তাসত্ত্বেও কিছু সংখ্যক মানবাধিকার সংগঠন মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলছেন। যা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক ।বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী বলেন, একটি পত্রিকার পাঠক প্রিয়তা সৃষ্টি, পাঠক বৃদ্ধি এবং পাঠক ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন বস্তুনিষ্ঠ গ্রহনযোগ্য তথ্য পরিবেশন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংবাদপত্র সংবাদপত্র শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবাধে সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনের পদ্ধতি এখন পাল্টে গেছে । বস্তুনিষ্ঠতার সাথে দ্রুততা সংবাদপত্রের অতি জরুরি একটি অনুসঙ্গ হয়ে দেখা দিয়েছে ।পরে মন্ত্রী কেক কেটে একদশক পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন ।