দৈনিকবার্তা-ঝিনাইদহ, ০৯ মে ২০১৫: কালের স্বাক্ষী হয়ে আজও বেঁচে আছেন মহেশপুর উপজেলার নোয়ানীপাড়ার গোলাম রহমান। বয়সের ভারে তিনি নুয়ে পড়লেও এখনও তিনি হাঁটতে চলতে পারেন। বর্তমানে তার বয়স দাঁড়িয়েছে ১৩৬ বছর।অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার হাঁসখালী থানার বেনালী গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন এই গোলাম রহমান। তার পিতার নাম মৃত কালু মন্ডল। বাংলা ১২৮৪ সালে ওই গ্রামে জন্ম হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্ত হওয়ার পর তার পরিবার এ দেশে পাড়ী জমায়। তার ৫ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অনেক নাতি-নাতনী রয়েছে। বড় মেয়ে রোকেয়া খাতুন ৬ সন্তান রেখে ১৯৭৩ সালে প্রায় ৬০ বছর বয়সে মারা যায়। তার ছেলে মেয়েরা সবাই প্রায় বৃদ্ধ হয়ে গেছে।বাংলা ১৩১৬ সালে এ অঞ্চলে প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় হয় এবং বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই সময় তার বয়স ছিল ৩২ বছর। তিনি সুন্দরভাবে ঐ সকল ঘটনার বর্ণনা দিতে পারেন।
গোলাম রহমানের সাথে আলাপ কালে তিনি ভারত, পাকিস্থানের অনেক ঘটনায় বর্ণনা দেন। হিন্দুস্থান পাকিস্থান সৃষ্টি এবং বৃটিশ আমলের অনেক ঘটনা তার জানা আছে। তার হিসাব মতে ১৮৭৯/৮০ সালে তার জন্ম। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তার বাড়ীতে ৫/৬ বার ডাকাতি হয়েছে।তার বড় ছেলে আব্দুল মাান্নান জানায়, তার পিতা নিজে এখনও হাঁটা চলা করতে পারে। বিভিন্ন ভাবে তারা মিল করে দেখেছে তাদের পিতার বয়স ১৩৫/৩৬ বছর হবে। বয়স নির্ধারনের জন্য তাদের কাছে তেমন প্রমান নেই। বিভিন্ন ঘটনা শুনে সেখানে থেকে হিসাব নিকাশ করে তারা এই বয়স বের করেছে। অনুসন্ধানে জাানা গেছে, এতো প্রবীন বয়স্ক লোক এ অঞ্চলে আর নেই।