দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ০৯ মে ২০১৫: দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে গাজীপুর মহানগরীর ১৫ আবাসিক হোটেল সীলগালা করে দিয়েছে পুলিশ। বিতর্কিত এসব আবাসিক হোটেল বন্ধ করে দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।জানা গেছে, শিল্প শহর গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা, কোনাবাড়ি ও টঙ্গীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা চলে আসছিল। আবাসিকের নামে বেপরোয়া অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ সম্প্রতি হোটেল গুলো বন্ধের দাবি জানায়। তারই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে সাড়াসি অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে শনিবার পর্যন্ত চান্দনা চৌরাস্তার ঈশা খাঁ, রাজমনি, কোনাবাড়ির ড্রিমল্যান্ড, গোল্ডেন সান, মুন, অতিথি, এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, গুলশান ভিউসহ ১৫টি আবাসিক হোটেল বন্ধ করে সীলগালা লাগিয়ে দেয়।
চান্দনা চৌরাস্তার পোল্ট্রি মেডিসিন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল জানান, এগুলো নামেই শুধু আবাসিক হোটেল ছিল। ২৪ ঘন্টাই অনৈতিক কার্যকলাপ চলতো। সম্প্রতি স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, উঠতি যুবক যুবতি, এবং বিভিন্ন পেশের লোকজনের যাতায়ত বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তিনি এ ধরনের হোটেল পুনরায় চালুর অনুমোতি না দিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সফর আলী জানান, শিল্প ও ব্যবসা নগরী হিসেবে গাজীপুরের ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু এভাবে হোটেল ব্যবসার নামে অনৈতক কাজের সুযোগ করে দেওয়ায় ছেলে মেয়েরা বিপথগামী হয়ে পড়তে শুরু করে। অবিভাবকরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে তারা বিষয়টি গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে জানান। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে হোটেল গুলো তালা লাগিয়ে দেওয়ায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।এব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানান, গাজীপুর শুধু শিল্প নগরীই নয়, রাজধানীর ঢাকার সবচেয়ে কাছে বিশেষ শ্রেণীর জেলা। এখানার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতেই অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
