দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ০৯ মে ২০১৫: ঝুলে থাকা সীমান্ত সমস্যা সমাধান মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির সফলতাই তুলে ধরছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা চুক্তিতে বাংলাদেশ লাভবান সেটি প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এর আগে সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছান।এর আগে ক্যাম্পাসে পৌঁছে প্রথমেই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, ইলা মিত্র হল, সুফিয়া কামাল অডিটরিয়াম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হল, ড. ওয়াজেদ মিয়া কেন্দ্রীয় গবেষনাগারসহ ১০টি স্থাপনা উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বশেমুরকৃবি সিন্ডিকেট সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, কৃষিবিদ আবদুল মান্নান এমপি ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি।পরে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থল সীমানা চুক্তি নিয়ে অন্য কোনো সরকার কথা বলেনি। ১৯৯৬ সালে প্রথম আমিই বিষয়টি তুলি। ২০১১ সালে ভারতের স্থল প্রটোকল চুক্তি হয়। ভারতের কাছ থেকে ফেনীতেও আমরা একটি অংশ পাই। যেটি বিএনপি নেত্রীর সংসদীয় এলাকার সঙ্গে যুক্ত হয়। আজ বাংলাদেশ লাভবান সেটি প্রমাণিত। আমরা অনেক জমি পেয়েছি। দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় এনেছেন বলেই কাজটি করা সম্ভব হলো। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় না এলে এটি হতো না।ভারতকে একটি বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে উল্লেখ কওে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশটির লোকসভায় সকল দলের সদস্যরা বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দিয়ে এই চুক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এটি একটি বিরল ঘটনা।এই ঘটনাকে তার সরকারের রাজনীতির বড় কূটনৈতিক সাফল্য বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, ভারত এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তিনি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার, সংশ্লিষ্ট সবগুলো রাজ্যের সরকার প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। দেশবাসির পক্ষ থেকে, দলের পক্ষ থেকে ও সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে ও দেশটির জনগণকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় ছোটবোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকসহ অপর দুই বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নারী রোশনারা আলী ও রুপা হক যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় তার অভিনন্দন জানান। এভাবেই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও মত দেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭২ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়। ’৭৪ সালের ২৮ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু সংবিধানের তৃতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে সীমান্ত চুক্তি বিল সংসদে পাস করেন। ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ৪০ বছরে কেউ কোন উদ্যোগ নেয়নি। ৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে উদ্যোগ নেই। ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর ভারত সফরে গিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধামন্ত্রী মনমোহন সিং ও আমি সীমানা সংক্রান্ত যৌথ ঘোষণা দেই। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সফরে এলে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হয়। শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের চাহিদা বেড়েছে, জনসংখ্যাও বেড়েছে। কীভাবে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো যায় সেটি ভাবতে হবে। সেসব ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। অল্প সময়ে আমরা খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে পেরেছি। এতে আমাদের গবেষক ও মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের অবদান রয়েছে।তিনি বলেন, বিএনপির সময়ে সারের জন্য কৃষককে গুলি খেতে হয়েছে। আমরা সার কৃষকের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। আমরা চাই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাক। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছি। হাজী দানেশ এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে কৃষি নিয়ে গবেষণার জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে।নিজের প্রথম জাপান সফরের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অঞ্চল ও জেলা ভিত্তিক কৃষি গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছি। জাপানে প্রথম সফরে গিয়ে দেখেছি তাদের কৃষিব্যবস্থা। জাপান প্রথমে কৃষিভিত্তিক দেশ ছিলো। সেখান থেকে তারা আজ এ পর্যায়ে এসেছে। তাদের কাজকর্ম অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন, সুশৃঙ্খল। প্রযুক্তি ব্যবহারও লক্ষণীয়।শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন কৃষিবিমুখ না হয়। তারা যেন মাঠে গিয়ে দেখে কীভাবে ফসল উৎপাদন হচ্ছে। প্রথম থেকেই কৃষি বিষয়ক পাঠ জরুরি।তিনি বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলেও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে আরও কীভাবে ফসল উৎপাদন বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। গোপালগঞ্জ এলাকা পানির এলাকা। তাই সেখানে ভাসমান ফসলি খেত গড়ে তোলা যায়। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকলপ আমরা এজন্যই করেছি যে, যার যেটুকু জমি রয়েছে সেটি যেন কাজে লাগে। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার একটি কথা আমি সব সময় মনে রাখি। বাংলাদেশের মাটি হলো সোনা। যা ফেলা হবে তাই ফলবে। বীজ ফেললেই গাছ হবে, গাছ হলেই ফল হবে। আমরা ২০০৮ সালে যখন ক্ষমতা নেই তখন বিশ্বব্যাপী খাদ্যমন্দা ছিলো। আমাদের তখন কিন্তু সমস্যা হয়নি।তিনি বলেন, আমরা আমাদের মাথাপিছু খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধু ধান, যেটা উত্তরবঙ্গে এখন হচ্ছে সেটা আপনাদেরই আবিষ্কার করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গবেষণা খাত সৃষ্টি করে গেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ২১ বছর পর ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়ে এসে ৪১ লক্ষ মে. টন খাদ্য ঘাটতি পায়। আমরা ওই মেয়াদেখাদ্য উৎপাদন করেছি ১ কোটি ৯০ লাখ মে. টন। গবেষণা খাতে তখন কোনো বরাদ্দ ছিলো না। আমরা ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করি।গবেষণা খাতের উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশেবর্তমানে ১৬ কোটি মানুষ। এর মধ্যে ৯০ লাখ বিদেশে থাকেন। বিপুল সংখ্যক মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে গবেষণার বিকল্প নেই। বিশ্বে গবেষকদের মতো আর কেউ সফলতা অর্জন করতে পারেনি।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) প্রশংসাকরে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে গবেষণায় সফল হয়েছে। গবেষণার ফলে এখন ১২ মাসই সব ধরনের তরকারি পাওয়া যায়।খাদ্য নিরাপত্তার জন্য খাদ্য ও পুষ্টিখাত অধিক গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করেপ্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি সবসময় আমাদের হৃদয়ে আছে।৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে কৃষকদের ভর্তুকি দিয়েছি। ১০ টাকায় কৃষি কার্ড করে দিয়েছি, উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
কৃষিবিদদের আরও গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সহযোগিতায় আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশের তালিকায় আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যেতে পারবো।ভিক্ষার ঝুলি হাতে আর নয়, বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।৪০ বছর শুনতে হল- গোলামীর চুক্তি’। এখন সবাই উপলব্ধি করছে, কত বড় অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। আজ বাংলাদেশ যে লাভবান হয়েছে, তা প্রমাণিত।১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি কার্যকরে ভারতের পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব পাস হওয়ার দুদিন পর শনিবার গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে একথা বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়, যার প্রধান লক্ষ্য ছিল দুই দেশের স্থল সীমান্ত নিয়ে সমস্যার সমাধান। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগবিরোধীরা সব সময়ই এই চুক্তিকে গোলামীর চুক্তি’ বলে এসেছে।ওই চুক্তির আওতায় ছিটমহল বিনিময় এবং অপদখলীয় ভূমি সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালেই সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধন করেছিল।কিন্তু তা আটকে ছিল ভারতের দিকে। কারণ, ভূমি ছাড়তে হলে ভারতের সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার ভারতের লোকসভায় ভারতের সংবিধান সংশোধনের ওই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হওয়ায় চুক্তি কার্যকরে আর বাধা রইল না।
শেখ হাসিনা বলেন,একটি এমপিও আপত্তি করে নাই।সর্বসম্মতিক্রমে এই বিলটি পাস করে দিয়েছে।এটা বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট অর্জন। সকলে এক হয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দিয়েছে। একটিও না ভোট পড়ে নাই১৯৭৪ সালের ওই চুক্তির সমালোচনা করে এলেও ভারতের সঙ্গে অমীংসিত সব সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের অন্য দলগুলোর সরকারের উদ্যোগহীনতার কথাও বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় আসে, তাদের এই সীমান্ত চুক্তি র্যাটিফাই করতে হবে, তা বলার সাহসই পায়নি।২০১০ সালের জানুয়ারিতে নিজের ভারত সফরের সময় যৌথ বিবৃতিতে এই চুক্তির বিষয়টি উল্লেখের তথ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “অনেকেই ভারত সফর করেছেন। ভারতের অনেক প্রধানমন্ত্রী এসেছেন। কেউ যৌথ ঘোষণায় সীমান্তের কথা বলেন নাই।ফারাক্কায় দৌড়, জাতিসংঘে গেছে, অমুক-তমুক করেছে অনেকে। আমাদের ভারতের দালাল-ভারতের দালাল শুনতে হয়েছে। আর, তারা অধিকার আদায় করতে পারে নাই। ওপরে গালি, আর ভেতরে পা ধরে বসে ছিল। শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা সোনিয়া গান্ধী এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্য আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলে তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসাতেই ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মীমাংসা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি আবার ক্ষমতায় না আসত, তাহলে এটা হত না।এদিকে, গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।তিনি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে কয়েকটি স্থাপনা উদ্বোধনের সময় সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রায় ১০ মিনিট বিদ্যুৎহীন থাকায় অনুষ্ঠানও থমকে ছিল।
এরপর গাজীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক মো.জহিরুল ইসলাম এবং উপমহাব্যবস্থাপক (টেকনিক্যাল) খান মো. বোরহান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন।গাজীপুরের পল্লী বিদ্যুৎ সামিতির ছায়াবিথী জোনাল অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক নূর মোহাম্মদকে ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।নূর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, অতিরিক্ত লোডের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সার্কিট ব্রেকার পুড়ে গিয়ে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে বাইপাস সংযোগ দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন আবার সচল করা হয়।তিনি জানান, দুজনকে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটিতে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (পবিস ব্যবস্থাপনা) মো. আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসকে প্রধান করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন প্রধান প্রকৌশলী মোস্তাফিজুল হক চৌধুরী ও পরিচালক (সিস্টেম অপারেশন কেন্দ্রীয় অঞ্চল) অঞ্জন কান্তি দাস।প্রধানমন্ত্রী এদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কেন্দ্রীয় গবেষণাগার, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টর হল, কৃষি অনুষদ ভবন, ফিশারিজ অনুষদ ভবন, ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদ ভবন এবং বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়াম উদ্বোধন করেন।এছাড়া প্রফেসর ড. এল এম আইজগ্র“বার গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদ ভবন, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল, ইলা মিত্র হল এবং কৃষিবিদ কাজী এম বদরুদ্দোজা বহিরাঙ্গন কেন্দ্রের নামফলকও উন্মোচন করেন তিনি।