DoinikBarta_দৈনিকবার্তা full_724131912_1414398368

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ মে ২০১৫: মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আসামি গ্রেফতারে ক্ষমতা চায় আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সানাউল হক এ কথা বলেন।এতে অনেক ইতিবাচক ফল আসবে বলে মনে করেন তিনি। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামিকে গ্রেফতারের ক্ষমতা চেয়ে তদন্ত সংস্থার পক্ষে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।সানাউল হক বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারাই বর্তমানে তদন্ত সংস্থার দায়িত্বে রয়েছেন। মামবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামিকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট আইনশংখলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করেই তদন্ত সংস্থা কাজ করবে।তদন্ত সংস্থার এ কর্মকর্তা বলেন, মাদকদ্রব্য, কাষ্টমস ও দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে আদেশ নিতে হয়। এতে আসামি আগে থেকে তার বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপ জেনে যায় এবং আসামি বিদেশে পালিয়ে যায় অথবা আত্মগোপনে চলে যায়। ফলে পলাতক আসামিদের বিচারে বিচারপ্রার্থীরা পুরোপুরো সন্তুষ্ট হতে পারে না।

সানাউল হক বলেন, ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার জন্য নিয়োগ বিধি ও অর্গানোগ্রাম করা হয়েছে। ভৌত অবকাঠামো ও পরিবহনসহ বিভিন্ন লজিষ্টিক সাপোর্ট নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে তদন্ত সংস্থার জন্য আরো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে এর কার্যক্রম বেগবান হবে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে দক্ষদের তদন্ত সংস্থায় নিয়োগ দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে সানাউল হক বলেন, এতে করে সংস্থা অনেক শক্তিশালী হবে এবং আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার সুষ্ঠু তদন্তে বিচারপ্রার্থীদের ন্যয়বিচার লাভে সহায়ক হবে।তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে আরো ২১টি মামলায় ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। পৃথক দু’টি ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ১৭টি মামলায় ১৮ আসামির বিচারকাজ সম্পন্ন হয়ে রায় হয়েছে। আরো দুটি মামলা রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষামান রয়েছে। আরো দুটি মামলার বিচারও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ২১টি মামলায় ৩৩ আসামির বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। এছাড়াও একটি মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে এবং একটি মামলায় আসামি দুই সহোদরের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এখন এ দুই মামলা বিচারের জন্য প্রস্ততি হচ্ছে।