দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৯ মে: থাইল্যান্ডের গহীন জঙ্গল থেকে এবার ১১৭ জন অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করেছে থাইল্যান্ড পুলিশ।উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে অন্তত ৭৫ জন বাংলাদেশী বলে জানানো হয়েছে।শুক্রবার থাইল্যান্ড পুলিশ দেশটির শঙখলা প্রদেশের পার্বত্য অঞ্চলের গহীন জঙ্গলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব অভিবাসীদের উদ্ধার করে।উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ৭৫ জন বাংলাদেশী, ২৮ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও বাকিরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক।আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে থাইল্যান্ড পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়াদের রেখে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়। যার কারণে পাচার হয়ে আসা এসব অভিবাসী জঙ্গলেই পড়ে থাকে।এছাড়াও অভিযানে থাইল্যান্ডের গহীন জঙ্গলে মানবপাচারকারী চক্রের আরো চারটি ক্যাম্পের সন্ধান পেয়েছে দেশটির পুলিশ।
থাইল্যান্ডপুলিশজানিয়েছে,সন্দেহভাজান এলাকার জঙ্গলগুলোতে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।পাচারের শিকার হয়ে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের জঙ্গলে থাকা শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি বলে দেশটির কর্মকর্তাদের দাবি।মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী ওই জঙ্গলে গত সপ্তাহে ৩৩ জনের কবর পাওয়ার পর মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের নির্দেশ দেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচা।ওই অভিযানেই শংখলা প্রদেশের রাত্তাফুম জেলা থেকে ১১৭ জনকে উদ্ধার করা হয় বলে প্রাদেশিক ডেপুটি গভর্নর একারাত সিসেনকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে। তিনি বলেন, ১১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা, বাকিরা বাংলাদেশ থেকে আসা।বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে সাগর পথে মালয়েশিয়ার মানব পাচারের বেশ কয়েকটি ঘটনা ধরা পড়েছে এর আগে। বলা হচ্ছে, এদেরও সেভাবে পাচার করা হচ্ছিল।পাচারের শিকারদের মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের ওই জঙ্গলে রাখা হত। যাদের মধ্যে নির্যাতনে অনেকের মৃত্যু ঘটে।১১৭ জনের বিষয়ে ডেপুটি গভর্নর বলেন, এরা আসলে পাচারের শিকার, না কি নিজেরাই এসেছে, তা যাচাই করে দেখছি আমরা।যাচাই করে যদি তারা মানব পাচারের শিকার বলে প্রমাণ মেলে, তবে তাদের দেশের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হেফাজতে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।একারাত সিসেন সেই সঙ্গে বলেন, তবে এই ব্যক্তিদের কেউ যদি নিজ উদ্যোগে এসেছেন বলে প্রমাণ মেলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।উদ্ধার ১১৭ জনকে রাত্তাফুম জেলায় যেখানে রাখা হয়েছে, সেখানে ঘুরে এসে রয়টার্সের এক সাংবাদিক বলেন, ওদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। সেখানে তাদের খাবার দেওয়া হচ্ছে।
নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে দাবি করে বুসরি সালাম নামে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর রয়টার্সকে বলেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি নৌকায় উঠেছিলেন তারাসহ অনেকে। দুই সপ্তাহ ধরে তারা থাইল্যান্ডের জঙ্গলে ছিলেন। আমার ভাই মালয়েশিয়ায় থাকে, আমি সেখানে যেতে চাই, বলে এই কিশোর।থাইল্যান্ডের ওই জঙ্গল থেকে এর আগে এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের পর তিনি নিজেকে বাংলাদেশি দাবি করেছিলেন।
বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকত্ব যাচাইয়ের চেষ্টা করছে। মানব পাচারের বিষয়টি থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস নজরে রাখছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শংখলা প্রদেশের একটি পার্বত্য এলাকায় জীবিত অবস্থায় শতাধিক অভিবাসীকে পাওয়া গেছে শুক্রবার দেশটির পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।থাই পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা মিয়ানমার ও বাংলাদেশ’ থেকে আসা রোহিঙ্গা অভিবাসী বলে ধারনা করা হচ্ছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১১১ জন অভিবাসীকে পাওয়া গেছে। তাদের জঙ্গলে ফেলে সন্দেহভাজন পাচারকারীরা পালিয়ে গেছে।রাত্তাফুম পুলিশ স্টেশনের উপ-তত্ত্বাবধায়ক পুলিশ লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোমকিয়াত অসতাফুন রয়টার্সকে জানায়, একটি পার্বত্য এলাকায় তাদের পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাদের যারা নিয়ে এসেছে, তারা পালিয়ে গেছে। এ কারণেই তারা এখানে পড়ে ছিলেন।মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে থাইল্যান্ডের পেদাং বেসার শহরের মেয়র বানজং পংফলকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।থাইল্যান্ডের পুলিশপ্রধান সোমইয়োত পুমপান গতকাল এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এদিকে, থাইল্যান্ডের মতো মালয়েশিয়াতেও মানব পাচারকারীদের বন্দিশিবিরের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর সংখ্যায় তা অনেক বেশি।গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় গভীর জঙ্গলে কমপক্ষে ছয়টি বন্দিশিবির এবং সেখানকার কবর থেকে ৩২ জন বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীর দেহাবশেষ ও কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। তারপর থেকে এ অভিযোগ উঠেছে।
চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মাত্র তিন মাসে বঙ্গোপসাগর দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে ২৫ হাজার বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা। এ সংখ্যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ—তথ্য এএফপি, রয়টার্স, ইউএনবি, মালয়েশিয়া ক্রোনিকল, জাকার্তা পোস্ট ও দ্য স্টারের।গত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে উদ্বাস্তুদের সহায়তায় নিয়োজিত সংগঠন রোহিঙ্গা ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল কালাম অভিযোগ করেন, পাচারের শিকার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া সীমান্তে যেসব বন্দিশিবির রয়েছে, সেখানে ৮০ ভাগই মালয়েশিয়ার ভেতরে। পাচারকারী চক্রের সঙ্গে অনেক মালয়েশীয় সরাসরি জড়িত। বন্দিশিবিরের একেকটিতে রয়েছেন ৫০০ থেকে ১০০০ অভিবাসী।আবদুল কালাম বলেন, গত ১০বছরে এ পরিস্থিতি বেশি খারাপ হয়েছে। সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে প্রায় ৫০টি বন্দিশিবির। এসব শিবিরে অভিবাসীদের খাবার ও পানির সংকটে ফেলে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করা হয়।তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের জনগণকে বলেছি মালয়েশিয়া না আসতে। কেননা, তারা অপহরণ ও পাচারকারীদের মারধরের শিকার হতে পারেন। কিন্তু তারা এ কথা বিশ্বাস করেনি।
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থাকার এ অভিযোগের ব্যাপারে থাইল্যান্ডের চতুর্থ আর্মি রিজিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রাকান চোলেয়ুথ নির্দিষ্ট করে দেশটিকে অভিযুক্ত না করলেও বলেন, সীমান্তে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যে বিশেষ অভিযান চলছে, তাতে প্রতিবেশী দেশগুলো সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে বলে তার সরকার আশা করে।জাতিসংঘের প্রতিবেদন: চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর দিয়ে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের উদ্দেশে অবৈধভাবে পাড়ি জমিয়েছে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। গতমাসে প্রকাশিত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল এ বিষয়ে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয় সংস্থাটি।
২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন বছরে সাগরপথে পাচার হওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ।জাতিসংঘের ওই সংস্থার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাচারকারীদের কবল থেকে বাঁচা লোকজনের তথ্য অনুযায়ী আমরা ধারণা করি, এ বছরের প্রথম তিন মাসে সাগরে ক্ষুধা, পানিশূন্যতা ও নৌকায় থাকা দালালদের নির্যাতনে ৩০০ জন মারা গেছেন।বিবিসিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী: ইউএনএইচসিআরের ওই প্রতিবেদনের ওপর গতকাল বিবিসি বাংলাকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সাক্ষাৎকারে প্রতিবেদনের তথ্য মানতে রাজি হননি তিনি।স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দাবির, সমুদ্রপথে মানব পাচারের ঘটনা অনেক কমে এসেছে। এরপরও এখন বাংলাদেশ সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি দেশের ভেতরে অভিযান চালানো হচ্ছে।এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, সমুদ্রপথে মানবপাচার বন্ধে এবার থাইল্যান্ড, মিয়ানমারসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সহযোগিতা চেয়ে অনুরোধ জানাবে বাংলাদেশ।বাংলাদেশ দূতাবাসের বিবৃতি: ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে গতকাল পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম গত বৃহস্পতিবার রাতে শংখলা প্রদেশে গেছেন। ১ মে এখানকার একটি গণকবরের কাছ থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া দুই বাংলাদেশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন তিনি।
১০০ রোহিঙ্গা অভিবাসী উদ্ধার: থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শংখলাপ্রদেশের একটি পার্বত্য এলাকায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে আসা’ শতাধিক রোহিঙ্গা অভিবাসীকে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে থাই পুলিশ।পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ১১১ জন অভিবাসীকে জঙ্গলে এভাবে ফেলে গেছে।সহযোগিতা চাইল থাইল্যান্ড: এ অঞ্চলে মানব পাচার-বাণিজ্য বন্ধে মালয়েশিয়া ও মিয়ানমারের সহযোগিতা চেয়েছে থাইল্যান্ড। গতকাল দেশটির সামরিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চাঁন-ও-চাঁ বলেন, এ মাস শেষ হওয়ার আগেই মালয়েশিয়া ও মিয়ানমারের সরকারপ্রধানের সঙ্গে তাঁর বৈঠক অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছেন তিনি।থাইল্যান্ডে মেয়রকে গ্রেপ্তার: থাইল্যান্ডের পুলিশপ্রধান সোময়ুত পুমপানমং গতকাল জানান, মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া অভিযানের মধ্যে পেদাং বেসার শহরের মেয়র বানজং পংফলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শংখলা প্রদেশের মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা।এর আগে পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে, যশোরে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে মানবপাচার দালালচক্র। এ চক্রের সদস্যরা ভাল চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে যশোরের নারী-পুরুষদের থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করছে।তারপর বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে তাদের পরিবারের কাছ থেকে আদায় করছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ। টাকা না দিলে দুর্বিষহ নির্যাতন করা হচ্ছে তাদের। যৌনপল্লীতে বন্দি রেখে দেহব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে নারীদের। এমন বন্দিদশা থেকে তাদের ফিরে পেতে জমি বন্ধক রেখে কিংবা চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পাচারকারীদের হাতে মুক্তিণের টাকা তুলে দিতে হচ্ছে স্বজনরা।যশোরের বেনাপোলের গাজীপুর গ্রামের মেয়ে আঞ্জুমান আরা। ৮ বছর আগে দুই সন্তানসহ তাকে ফেলে রেখে যায় তার স্বামী। একই গ্রামের আয়েশা খাতুন দুবাইয়ে চাকরির প্রলোভন দেখায় আঞ্জুমান আরাকে। প্রলুব্ধ হয়ে আঞ্জুমান আরা শেষ সম্বল জমি বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা দেন আয়েশাকে। কিন্তু দুবাইয়ের বদলে ওমানে নিয়ে আঞ্জুমান আরাকে দালালদের কাছে বিক্রি করে দেয় আয়েশা। ৫ মাস সেখানে আটকে রেখে তার ওপর চলে নির্মম নির্যাতন।আঞ্জুমান আরাকে ফিরিয়ে আনতে লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আয়েশা ও দালালরা। কিন্তু তার গরীব বাবা মা এ টাকা দিতে না পারায় আঞ্জুমান আরাকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সহায়তা পায়নি তার বাবা-মা। উল্টো আয়েশার দেয়া মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পরিবারের।এদিকে, পাচারের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন বলে দাবি অভিযুক্ত আয়েশার।পাচারের পর বন্দিদশা থেকে কয়েকজনকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ পাচারকারি চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর। এ ধরনের মানবপাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতার পাশাপাশি কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জানান সংগঠনটির প্রধান বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক।