দৈনিকবার্তা-ভোলা, ৮ মে: ভোলার বোরহানউদ্দিনের বড়মানিকা ইউনিয়নের ৪ নং পূর্ব বাটামারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় দুই বছর ধরে খোলা মাঠে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। প্রায় দুই বছর আগে নদী ভাঙ্গন ও জলোচ্ছ্বাসে ফলে ১৯১৮ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত ওই বিদ্যালয়টি মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর থেকে বেড়ীবাঁধের বাইরে আলতাফ হাওলাদার বাড়ির মোক্তব ঘর ও খোলা মাঠ কোন রকমে পাঠদান চালাচ্ছেন শিক্ষকগণ।সরেজমিনে দেখা যায়, মোক্তবের বাইরের খোলা মঠে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। পাঠদানকারী শিক্ষক অন্তর হাওলাদর বলেন, সকালে ওই স্থানে প্রথম শ্রেণীর ক্লাস নেয়া হয়। কোনরূপ পার্টিশন মোক্তব ঘরে গাদাগাদি করে তিনটি শ্রেণীর ক্লাস হচ্ছে।
এতে একটি ক্লাসের সাথে অপর ক্লাসের পার্থক্য করা খুব দুস্কর হয়ে পড়ে। এর মধ্যেই আবার শিক্ষকদের বসার স্থান। অপর সহকারী শিক্ষক হোসেন হাওলাদার জানান, এক সময় এ স্কুলে প্রায় ৮ শত ছাত্র-ছাত্রী ছিলো। বর্তমানে মাত্র ৩৯৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রধান শিক্ষক মো. রাশেদ জানান, নদীতে জোয়ারের সময় ওই খোলা মাঠেও পাঠদান করা সম্ভব হয়না। তখন ক্লাস করতে হলে বিশাল সাঁকো পেড়িয়ে শিক্ষার্থীদেও মোক্তবে ঢুঁকতে হয়। এতে প্রায়ই সাঁকোর উপর থেকে ছোট ছোট শিক্ষার্থী নিচে হাটু পানিতে পড়ে যায়। তিনি আরো জানান, বিনামূল্যে হাওলাদারের পরিবার ওই মোক্তব ঘরের ব্যাবস্থা না করলে পাঠদানই সম্ভব হতোনা।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কেএম তোফাজ্জল হোসেন জানান, পাঠদানের ওই স্থান থেকে এক কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে, নবীন হাওলাদরের দান করা স্কুলের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় ৭৪ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি দ্বিতল ভবন নির্মানাধীন। ওই ভবনের কাজ চলতি বছরের জুলাই মাসে শেষ হবার কথা রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী মঞ্জু হাওলাদার, হেলালউদ্দিন, আবু তাহের কাজের অগ্রগতি দেখে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হবার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন। স্কুলের নয়া ভবনের জমির দাতা ও মোক্তবের মালিক নবীন হাওলাদার জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে শিক্ষা প্রসারে সামান্য ভূমিকা রাখতে পেরে তিনি গর্বিত।