দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৮ মে ২০১৫: প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর শিটের ঘাটতির কারণ দেখিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের দুটি পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ও অফিসার (ক্যাশ) পদে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়। এর পরপরই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে।ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হামিদ বলেন, এ পরীক্ষায় সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ আবেদনকারী পরীক্ষা দিতে আসে। যাদের আমরা পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছি, তারা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিল।কিন্তু সকালে দেখা যায়, প্রায় একশ শতাংশ পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে উপস্থিত। প্রশ্নপত্র ও ওএমআর শিটের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় আমরা পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি। পরীক্ষার নতুন তারিখ পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
অগ্রণী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম)।ব্যাংকে এবার সিনিয়র অফিসার পদে ১১ হাজার এবং অফিসার (ক্যাশ) পদে সাড়ে তিন হাজার চাকরি প্রত্যাশির আবেদন জমা পড়েছিল।এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেলেও তা অস্বীকার করেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হামিদ।তিনি বলেন, না, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা শেখ তাহের বলেন, কর্তৃপক্ষ সকাল ১০টা পর্যন্ত বলে আসছিল প্রশ্ন এবং ওএমআর ফটোকপি করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু এখন কেন্দ্রের সামনে বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানানো হয়েছে।পরীক্ষা শুরুর পরপরই এ কেন্দ্র ঘুরে যান রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান।তিনি বলেন, এখানে পরীক্ষার্থী ছিল চার হাজার। কিন্তু প্রশ্নপত্র মাত্র সাতশ। তাই পরীক্ষা পিছানো হয়েছে।
মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি বালিকা ও বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা ফায়েম নামে এক চাকরিপ্রত্যাশি জানান, ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা বাতিলের খবর পেয়ে আসাদগেইটে সড়ক অবরোধের জন্য জমায়েত হন।এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি মো. আজিজুল হক বলেন, পরীক্ষা বাতিলের খবর পেয়ে পরীক্ষার্থীরা আসাদগেইটে জমায়েত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন। পরে আমি বুঝিয়ে বলায় তারা চলে গেছেন।মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী সাদিকুর নিয়োগী পন্নি জানান, তাদের কেন্দ্রে পুরো দুই ঘণ্টা পরীক্ষা হয়েছে। তিনি পুরো পরীক্ষাই দিতে পেরেছেন। অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, এমডি লাঞ্ছিত, প্রশ্ন সংকটে অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ও অফিসার ক্যাশ ক্যাটাগরিতে বিশেষ কোটার নিয়োগ পরীক্ষা দিতে না পেরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে পরীক্ষার্থীরা।এদিকে প্রত্যক্ষ সূত্রে জানা গেছে. অগ্রণী ব্যাংকের এমডি সৈয়দ আব্দুল হামিদ মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করতে আসলে উত্তেজিত পরীক্ষার্থীরা তাকে লাঞ্ছিত করে।শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের ব্যাপারটি জানানো হয়। জানা গেছে ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ছিল ৪ হাজার এবং প্রশ্নপত্র ছিল মাত্র ৭শ, সেজন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।