দৈনিকবার্তাঢাকা, ৭ মে: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখনি আজও সমাজের অনাচার, অবিচার আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে অনুপ্রেরণা যোগায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী প্রাণপুরুষ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।এশিয়ার প্রথম নোবেল পুরস্কার পাওয়ার বিরল সম্মান অর্জনকারী রবীন্দ্রনাথ তাঁর উপন্যাস, কবিতা ও গানে গভীর জীবনবোধ, প্রকৃতির সাথে মগ্নতা ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি গভীর আস্থা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে এক অনাবিল শান্তি ও স্বর্গীয় আনন্দের আবহ তৈরী করে। আমরা গর্ববোধ করি তাঁর রচিত গান আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে পেয়ে। তাই আমাদের জাতীয় জীবনের সকলক্ষেত্রে বিশ্ব কবির সুগভীর প্রভাব বিদ্যমান।
তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর অনাবিল সৃষ্টিতে একদিকে যেমন স্বজাতির মুঢ়তা, স্থবিরতার বিপন্ন ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন, আবার অন্যদিকে তিনি জাতীয় জীবনের সব অচলায়তন ভেঙ্গে বিশ্বের অতি অগ্রসর জাতিসমূহের কীর্তিময় অর্জনগুলোকে গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছিলেন।তাঁর সাহিত্য কর্মে শান্তি, মানবতা, মহত্ববোধ ও পরমত সহিঞ্চুতার বাণী যুগে যুগে মানুষকে প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁর সৃষ্টি কর্ম জাতীয়তার গন্ডি পেরিয়ে দেশ দেশান্তরে হয়ে উঠেছে কল্যাণের অকৃত্রিম আলেখ্য। মানব প্রেম, প্রকৃতি প্রেম ও দেশপ্রেম তাঁর লেখনির প্রধান অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে।খালেদা জিয়া আরো বলেন, আজও আমরা সবাই তাঁর লেখনি দ্বারা উদ্বুদ্ধ এবং একই সঙ্গে তা সমাজের অনাচার, অবিচার আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়।আমি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।