দৈনিকবার্তা-পাবনা, ০৭ মে: পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পূর্ব শত্র“তার জের ধরে ইসলাম প্রামানিক (৬০) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত আসামী হত্যাকারী মিলন হোসেন (২৯) কে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত এগারোটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ী ইসলাম ফরিদপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ রাউত নাগদাহপাড়া মহল্লার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে এবং আটক মিলন একই এলাকার রায়হান আলীর ছেলে।ফরিদপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় রাউত নাগদাহপাড়া বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে তার প্রতিবেশির সাথে কথা বলছিলেন ব্যবসায়ী ইসলাম। এসময় মিলন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথারী কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার পাঁচুরিয়াবাড়ি গ্রাম থেকে হত্যাকারী মিলনকে ধারালো দেশী অস্ত্র সহ আটক করে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, নিহত ইসলামের সাথে আটক মিলনের টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন বাদি হয়ে মিলনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে মিঠু (৩০) নামের এক চরমপন্থি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। বৃহ¯তিবার সকাল ১০টার দিকে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মিঠু উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের নরজান গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে।স্থানীয়রা জানান, আজ সকালে মিঠু একদন্ত ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের পূর্বপাড়ায় সমিতির ঋণের কিস্তি দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পুর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ৫/৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মিঠু ঘটনাস্থালেই মারা যায়। এলাকাবাসীর ধারনা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী দল নকশাল ও সর্বহারা দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলেই মিঠুকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক হোসেন হত্যার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হত্যার সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো