দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৭ মে: বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বাইরে ফেলে দিতে হবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় জঙ্গিবাদের নেত্রী বেগম জিয়াকে খালেদা বাংলাদেশের রাজনীতিতে কবর দিতে হবে।বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টন মুক্তিভবনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ( জেএসএফ) এ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বেগম জিয়াকে মামলা থেকে রেহাই দেয়ার তদবির করবে তারা দেশের শত্র“ ও গণতন্ত্রের শত্র“।ইনু বলেন, খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কবর দিতে হবে। তিনি ক্ষমতায় আসলে যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় যাবে, তেঁতুল হুজুররা বাংলাদেশের সিংহাসন দখল করে নিবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য মন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। মানুষ পোড়ানোর দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলে তার পক্ষে সাফাই গাইছে। মামলা থেকে তাকে রক্ষা করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা তদবির করছে।এ সময় তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মামলা থেকে রেহাই দেবার জন্য যারা তদবির করবেন তারা দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু বলে বিবেচিত হবেন।মন্ত্রী বলেন, নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারবেন আর মামলা হবে না। এটা কি মামা বাড়ির আবদার?
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জঙ্গিবাদের নেত্রী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসলে দেশ তেতুঁল হুজুর ও রাজনৈতিক মোল্লাদের ইজারায় চলে যাবে। এতে করে নারী সমাজ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই যারা জঙ্গিবাদী,তেঁতুল হুজুর ও যুদ্ধাপরাধীদের সাথে রাজনীতি করে সেসব নেতাদের ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। দেশে নিরাপদ রাজনীতির জন্য জঙ্গিবাদকে ধবংস করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।আলোচনা সভায় জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন ২০১৫-১৬ বাজেটে শ্রমিকদের জন্য অর্থ বরাদ্দে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, নারী গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য গার্মেন্টস শ্রমিক এলাকায় নিরাপদ মাতৃত্ব কেন্দ্র স্থাপন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের শিশুদের লালন পালন করার জন্য গার্মেন্টস অঞ্চলভিত্তিক ডে কেয়ার সেন্টার বা শিশু লালন-পালন কেন্দ্র স্থাপন, গার্মেন্টস শ্রমিক কলোনী, স্বল্প খরচে বা বিনামূল্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য শিল্প এলাকাগুলোতে হাসপাতাল নির্মাণ, গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য পরিবহন সুবিধা ও মাতৃত্বকালীন ছুটি ৪ মাস থেকে ৬ মাস করা।শ্রমিকদের এই দাবি প্রসঙ্গে হাসানুল হক ইনু বলেন, আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবিগুলো তুলে ধরলে তিনি অবশ্যই তা পূরণ করে দেবেন।এ সময় তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের কল্যাণে উত্থাপিত প্রতিটি দাবিই যুক্তিসঙ্গত। তবে এগুলোর মধ্যে শ্রমিকদের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা,নিরাপদ কর্মস্থল, চলাচলের সুবিধা ও আপদকালীন তহবিল বা কল্যাণ তহবিল সহ ৪টি দাবিকে শ্রমিকদের বাঁচা মরার বিষয়।সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম দেলোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেএসএফের সভাপতি আ.স.ম জাকারিয়া,সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন,কার্যকরী সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ।