দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৬ মে: হাইকোর্ট থেকে দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী।বুধবার বিচারপতি মো রেজাউল হক ও বিচারপতি খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএনপির এ নেতার জামিন মঞ্জুর করেন।আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।দুটি মামলার মধ্যে একটি চকবাজার থানায় গাড়ি ভাংচুর মামলা। অপরটি শাহবাগ থানায় খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে বকশীবাজারে সংঘর্ষের মামলা।চলতি বছরের ৯জানুয়ারি শমসের মবিন চৌধুরীকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শাহবাগ থানার মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
এদিকে, নাশকতার অভিযোগে তুরাগ থানায় দায়ের করা এক মামলায় হাইকোর্ট থেকে অন্তঃবর্তিকালীন জামিন পেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। একইসঙ্গে কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গয়েশ্বরের জামিন বহাল থাকবে বলে জানা গেছে।বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।আদালতে গয়েশ্বরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী।তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার দেবাশ্বিস রায়। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান (এফআর খান)।
এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নাশকতার অভিযোগ (রাস্তায় তিনকাঁটাযুক্ত তারকাটা বিছানো ও বানানোর অভিযোগ) এনে পুলিশ বাদি হয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এক নম্বর আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কারাগারে আছেন। হরতাল-অবরোধে নাশকতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রমনা, শাহবাগ ও পল্টন থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।জানতে চাইলে গয়েশ্বরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় বলেন, আমরা আদালতে বলেছি গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে নাশতকার অভিযোগে এ মামলায় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তিনি (গয়েশ্বর চন্দ্র রায়) এদেশের একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক ও রাজনীতিবিদ। কাজেই তিনি হরতাল-অবরোধে নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন না। তখন শুনানি শেষে আদালত তাকে এ মামলায় অন্তঃবর্তিকালীন জামিন দেন।