দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৪ মে: সামাজিক প্রতিবন্ধকতার বেড়াজাল থেকে বাংলাদেশের নারীরা এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি। তাই একজন বাবা তার মেয়েকে ক্রিকেটার হতে দিলেও কাবাডি খেলোয়াড় হতে দেবেন না। কারণ, এই খেলাটির সঙ্গে শারীরিক শক্তি ও সামর্থের বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। তাই মহিলা কাবাডি খেলতে কেবল নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরাই আসেন। কারণ, কাবাডি খেলে তিনি একটা চাকরি পেতে পারেন। হতে পারেন পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।এই মহিলা কাবাডিকে এগিয়ে নিতে ওয়ালটন ও মার্সেল পরিবার অনেকদিন ধরেই কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের স্বনামধন্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, অটোমোবাইলস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ড মার্সেলের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, ‘মার্সেল টেলিভিশন প্রথম উন্মুক্ত মহিলা বিচ কাবাডি প্রতিযোগিতা।’ পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের লাবনি পয়েন্টে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় ও মার্সেলের পৃষ্ঠপোষকতায় এই প্রতিযোগিতা চলবে ৮-৯ মে পর্যন্ত।
সোমবার এ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), মার্সেল মার্কেটিং বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মতিউর রহমান, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব এ কে এম ফারুকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। উপস্থিত ছিলেন প্রতিযোগিতার ট্যুরিজম পার্টনার ‘বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের’ ম্যানেজার মার্কেটিং ও পিআর পারভেজ আহমেদ চৌধুরী।
মার্সেল টেলিভিশন প্রথম উন্মুক্ত মহিলা বিচ কাবাডি প্রতিযোগিতায় চারটি দল অংশ নিচ্ছে। দলগুলো হল আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব, জুড়াইন জনতা ক্লাব, ইনিস্টিটিউট অব কাবাডি ঢাকা এবং কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার মহিলা বিচ কাবাডি দল। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। পয়েন্টের ভিত্তিতে শীর্ষস্থানধারী দল চ্যাম্পিয়ন হবে। চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজমানি হিসেবে ২০ হাজার টাকা ও রানার্স আপ দল ১০ হাজার টাকা পাবে। এ ছাড়া অংশগ্রহণ করার জন্য প্রত্যেকটি দলকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
এক বক্তব্যে এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা মার্সেল পরিবার উন্মুক্ত মহিলা বিচ কাবাডি প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে যাচ্ছি। যেহেতু এই প্রতিযোগিতাটি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হচ্ছে সেহেতু এটাকে আমরা একটু বেশি গুরুত্ব দিব। আমরা এটার মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রমোট করতে চাই। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশনও রয়েছে। রয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।এই টুর্নামেন্ট সার্বিকভাবে সফল হউক, সেই কামনা করছি।’
হেড অব মার্সেল মার্কেটিং সাউথ মতিউর রহমান বলেন, ‘প্রথম মহিলা বিচ কাবাডির সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা মার্সেল পরিবার আনন্দিত। আপনারা জানেন মার্সেল আর.বি. গ্রুপের একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। ৪০০ ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে আমরা সারাদেশে মার্সেলের পণ্য ও সেবা পৌঁছে দিচ্ছি। একটি ব্র্যান্ডকে মানুষের কাছে দ্রুত পরিচিত করে তোলার ক্ষেত্রে স্পোর্টস একটি বড় মাধ্যম। আপনারা জানেন আর.বি. গ্রুপ (ওয়ালটন ও মার্সেল) সব সময় সবধরণের খেলাধুলার পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাল্লাহ। আশা করবি ওয়ালটন ও মার্সেলের মতো অন্যান্য ব্র্যান্ড এবং প্রতিষ্ঠানও খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসবে।’কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ওয়ালটন ও মার্সেলের প্রশংসা করে বলেন, ‘ওয়ালটন ও মার্সেল সব সময়ই কাবাডি ফেডারেশনের সঙ্গে রয়েছে। যেকোনো টুর্নামেন্ট আয়োজনে তাদেরকে আমরা পাশে পাই। প্রথম উন্মুক্ত মহিলা বিচ কাবাডি প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে আসায় মার্সেলকে ধন্যবাদ জানাই। শুধু প্রতিযোগিতা নয়, ওয়ালটন ও মার্সেল কাবাডি প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও নানাভাবে সহায়তা করে থাকে। আশা করছি ভবিষ্যতেও আমরা তাদেরকে পাশে পাব।’এই প্রতিযোগিতার অনলাইন মিডিয়া পার্টনার দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম।