দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৪ মে: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষকদের পাষণ্ড বলে অভিহিত করে তাদেরকে হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ।শিক্ষকদের হুমকি দিয়ে তিনি বলেছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আজীবন বহিষ্কার করে সাপের লেজে পা দিয়েছেন তারা। তাই তাদেরকে এর প্রতিঘাত পেতেই হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আজীবন বহিষ্কারের প্রতিবাদে ও বুয়েট শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলায় গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সোহাগ বলেন, এ রকম পাষণ্ড শিক্ষকদের কাছে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একরকম জিম্মি। এদের জন্যই বুয়েট এক সময় ৬ মাস বন্ধ ছিল। আজ এ সব শিক্ষকদের বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করার সময় হয়েছে।
সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন, ১১ তারিখ সকাল ১১টায় বুয়েট শহীদ মিনারে সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দেন।বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম এই বহিষ্কারাদেশের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দাবী আদায় করার হুঁশিয়ারী দেন এবং অবিলম্বে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, সহ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নাদিম, দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল প্রমুখ।
উল্লেখ্য,ফেসবুকে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর নিয়ে একটি স্ট্যাটাসে দেয়া কমেন্ট নিয়ে সিভিল ইনঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গত ১২ এপ্রিলের শিক্ষকের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেন বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্র জ্যোতি ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনক। এ ঘটনায় আরো দুই শিক্ষার্থীসহ শুভ্র ও কনককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।