দৈনিকবার্তা-ময়মনসিংহ, ৪ মে: সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ডা. কাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এমপি’র নিজ উদ্যোগে সার্বিক পরিকল্পনা ও নিজস্ব অর্থায়নে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে নির্মিত হয়েছে দেশের অনন্য স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার নজর কাড়া ভাষ্কর্য। যার নামক করণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু চত্তর।উপজেলা শহরের মাঝখানে জমিদার আমলের পামবীথি সড়কের জোড়া পুকুর পাড়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ বিজয়-৭১ সংলগ্ন স্থানের ওই ভাষ্কর্যটির আয়তন প্রায় ৪শত বর্গফুট। প্রায় এক বছর ধরে চলা সুনিপুন নির্মাণ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। চলছে শুধু পোলিশ, ধোয়া-মুছা আর লাইট ফিটিং আর দর্শনার্থীদের বসা ও বিশ্রামের জন্য তৈরী করা হচ্ছে আকর্ষনীয় লাল রংয়ের টিন দিয়ে দৃষ্টি নন্দন তিনটি আলাদা শেড।
এখানে চলবে বিভিন্ন ধরনের সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। শেডের মাঝখানে অর্থাৎ রাস্তার উপর স্থাপন করা হচ্ছে একটি অস্থায়ী মঞ্চ। যা অনুষ্ঠানে ে শষে আবার সরিয়ে ফেলা যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতিকে অক্ষুন্ন রাখতেই এই বঙ্গবন্ধু চত্তরে পিতলের তৈরী চকচকে সোনালী রং করা মুজিব নগর সরকারে ভারপ্রাপ্ত অস্থায়ী রাষ্টপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহাম্মদ, স্বারাষ্ট মন্ত্রী এইচ এম কামরুকজ্জামান, ও অর্থ মন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ভাষ্কর্যের ঠিক মাঝখানে একটু বড় আদলে বসানো হয়েছে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন ভার্ষ্কয। আর এই ভাষ্কর্যের ম্যুরালের পিছনের দেয়াল পিতলের পাত দিয়ে বাাঁধানোসহ মূল বেদীর সিড়িগুলো পিতল পাতে মোড়ানো হয়েছে।
তাছাড়া মুল বেদীতে উঠার সিড়ি গুলোর কার্নিস পিতল পাত দিয়ে মুড়িয়ে বাাঁধানো হয়েছে সোনালী রংয়ের দামী টাইলস। ৪ ফুট কংক্রিটের পিলার করে তাতে কারুকাজ মন্ডিত ষ্টীলের গ্রীল দিয়ে তৈরী করা হয়েছে চার পাশের প্রাচীর।মুরালের সম্মুখের কংক্রিট মেঝে রঙিন লতা-পাতায় অংকিত করে মৃসন মোজাইক করা হয়েছে। দর্শনাথীদের যাতায়তের জন্য বাম পাশ ও ভাষ্কর্যের সম্মুখের প্রাচীরে রাখা হয়েছে স্টীলের নকশী করা দুটি টানা গ্রীল গেট। ২০ ফুটের ৪ টি ও ৪ ফুটের ১০ টি কংক্রিটের পিলারের উপর বসানো হয়েছে সুদৃশ্য সোনালী বক্সের মাঝে ইলেকট্রিক লাইট।রাতে জরুরী বিদ্যুতের জন্য স্থাপন করা হয়েছে সৌর বিদ্যুত প্ল্যান্ট। তাছাড়া এই ভাষ্কর্যের ডান পাশে রয়েছে পাথরে খোদাই করা মুক্তিযুদ্ধের সাত বীরশ্রেষ্ঠ ও বাম পাশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের যৌথ ভাস্কর্য।
মুল গেইটের বাইরে স্মৃতি সৌধ সড়কে পাথরে খোদাই করে স্থাপন করা হচ্ছে গৌরীপুরের সাবেক এমপি মরহুম নজরুল ইসলাম সরকার, সাবেক এমসিএ মরহুম হাতেম আলী মিয়া, মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা খালেদুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মরহুম ডা. আব্দুস সোবহান, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির এর ভাষ্কর্য। ভাস্কর্যটি নির্মান করতে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। দৃষ্টি কাড়া এই ভাষ্কর্যটি হঠাৎ পথচারিদের তাক লাগিয়ে দেয়। স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধের মহানয়কদের নিয়ে তৈরী করা এ অনন্য স্থাপনার ভাষ্কর্যটি নি:সন্দেহে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে।