দৈনিকবার্তা-গৌরনদী (বরিশাল), ০৪ মে: প্রেমিক ও তার মা জোরপূর্বক অবৈধভাবে প্রেমিকার গর্ভের সন্তান নস্ট করতে গিয়ে এখন মৃতু্যর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের প্রেমিকা তুলি রানী শীল (১৯)৷ গত দু’দিন থেকে পিতৃ-মাতৃহীন তুলি বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের গাইনী বিভাগে চিকিত্সাধীন রয়েছে৷
সোমবার সকালে হাসপাতালে শষ্যাশয়ী বদরপুর গ্রামের জীবন চন্দ্র শীলের কন্যা অসহায় তুলি রানী শীল জানান, দাম্পত্য কলহের জেরধরে সমপ্রতি তার বাবা-মায়ের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে৷ এতে সে অসহায় হয়ে পরে৷ পরবর্তীতে একই গ্রামের নিকট আত্মীয় চিত্ত রঞ্জন শীলের বাড়িতে সে (তুলি) আশ্রয় নেয়৷ এ সুযোগে চিত্ত রঞ্জনের পুত্র বার্থী বাসষ্ট্যান্ডের একটি ঔষধের ফার্মেসীতে কর্মরত অভিজিত চন্দ্র শীলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে অভিজিত জোরপূর্বক তার সাথে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করে৷ এতে সে তিন মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পরে৷ পরবর্তীতে বিয়ের জন্য প্রেমিক অভিজিতকে চাঁপ প্রয়োগ করলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করে৷ তুলি রানী আরো জানান, গত এক সপ্তাহ পূর্বে প্রেমিক অভিজিত ও তার মা সবিতা রানী শীল নাটকীয়ভাবে তার (তুলির) গর্ভের সন্তান নস্ট করার জন্য জোরপূর্বক তাকে ঔষধ সেবন করিয়ে দেয়৷ এতে সে অসুস্থ্য হয়ে পরলে স্থানীয় এক পল্লী চিকিত্সকের মাধ্যমে তার চিকিত্সা করিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু করা হয়৷ একপর্যায়ে রবিবার সকালে তুলি গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরে৷ এসময় বাড়ির অন্যান্য লোকজনের কাছে সে বিষয়টি জানালে তারা মুমর্ুর্ষ অবস্থায় তাকে (তুলিকে) উদ্ধার করে গৌরনদী থানায় নিয়ে আসে৷ থানা পুলিশের পরামর্শে অসুস্থ্য তুলিকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাত্ক্ষনিক তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি করা হয়৷ তুলির অভিযোগে আরো জানা গেছে, বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল অভিজিতের পক্ষালম্বন করে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি অব্যহত রেখেছে৷ গৌরনদী থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি৷ রোগী সুস্থ্য হওয়ার পর অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷