দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০২ মে: আগামী ৪ বছরে পোল্যান্ড বাংলাদেশের সাথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চায়। এজন্য পোলিশ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সাথে কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পর্যটন, বিদ্যুৎ, কয়লা উত্তোলনসহ আরো কিছু সম্ভবনাময় খাতে যৌথ বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে।শনিবার রাজধানীর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে এক সেমিনারে নয়াদিল্লীতে অবস্থিত পোল্যান্ড দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত টমাস লুকাজুক এসব কথা বলেন।বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সামতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) এবং পোল্যান্ড দূতাবাসের ঢাকাস্থ কনস্যুল অফিস যৌধভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই প্রথম সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী ও পরিচালক কে এন জামান রুমেল, নয়াদিল্লী পোলান্ড দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সিলর মারিয়া লুকাজুক, ট্রেড ইউংয়ের প্রধান বিগনিউ ম্যাগডায়ারস, অনারারি কনস্যুল অব পোল্যান্ড রাশেদুর রহমান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।সেমিনারে পোল্যান্ডের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।রাষ্ট্রদূত বলেন,বাংলাদেশে ভোক্তাদের একটি বড় বাজার রয়েছে। যাদের ক্রয়ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এ দেশে ব্যবসা করে সফল হওয়া সম্ভব। পোলিশ ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে ভাবছে। এদেশের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ছে।’এর পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও পোল্যান্ডে বিনিয়োগ ও ব্যবসা করে লাভবান হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।বাংলাদেশ- পোল্যান্ড মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ এখন ৬১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ পোল্যান্ডে ৫৬০ দশমিক ৬০ ডলারের পন্য রফতানি করে। আর আমদানি করে ৫৬ দশমিক ৭৫ ডলারের পণ্য।রাষ্ট্রদূত বলেন, পোলিশ ব্যবসায়ীরা এখন চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার অনেক দেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশেও তারা যৌথ বিনিয়োগে যেমন আগ্রহী তেমনি পোলিশ পণ্য রফতানি করতে চায়।
বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে আগামী সেপ্টেম্বরে একটি বড় পোলিশ ব্যবসায়ী দল বাংলাদেশ সফরে আসবে বলে তিনি জানান।তিনি বলেন,পোল্যান্ড কৃষি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফল, পর্যটন, আইটি, যন্ত্রাংশ তৈরি, ভারী শিল্প ও কয়লা উত্তোলনের জন্য বিখ্যাত। পোলিশ দুগ্ধজাত খাদ্য ও আপেল সারাবিশ্বে সমাদৃত। বাংলাদেশ এসব পণ্য আমদানি করতে পারে।অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী বলেন, বাংলাদেশে জ্বালানী. পর্যটন, কৃষি, শিপবিল্ডিং ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে ৭টি স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোন গঠন করেছে। এখানে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য কর রেয়াতসহ নানাবিধ সুবিধা রয়েছে বলে তিনি উলেÍখ করেন।মনোয়ারা বলেন, স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোনে প্রস্তুতকৃত পণ্য সরাসরি বিদেশে রফতানির সুযোগ রয়েছে।তিনি বাংলাদেশ ও পোল্যান্ডের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বিজনেস কাউন্সিল গঠনের পরামর্শ দেন।