দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩০ এপ্রিল: যমুনা রিসোর্ট লিমিটেডের (জেআরএল) সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিল নোটিশ বিষয়ে শুনানি ১৭ মে পর্যন্ত মুলতবি করেছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।একই সঙ্গে নোটিশের স্থগিতাদেশের ওপর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতির দেয়া স্থিতাবস্থাও ১৭ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়। আদালতে যমুনা রিসোর্টের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুন নূর দুলাল।
ব্যারিষ্টার রফিক-উল হক সাংবাদিকদের বলেন, স্থিতাবস্তা ১৭ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে। যমুনা রিসোর্ট লিমিটেডের (জেআরএল) সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তি বাতিলের নোটিশ গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট স্থগিত করে আদেশ দেয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব তীরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও কালিহাতী উপজেলায় অবকাশযাপন কেন্দ্র গড়ে তুলতে ১৯৯৯ সালের ২১ নভেম্বর সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৩০ বছর মেয়াদে প্রায় ১৬২ হেক্টর জমি ইজারা নেয় যমুনা রিসোর্ট লিমিটেড। কিন্তু চুক্তি অনুসারে পাওনা পরিশোধ ও সার্টিফিকেট অব সেটিসফেকশন (সিএস) স্বাক্ষর না করার কারণ দেখিয়ে জেআরএলের সঙ্গে ওই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী গত ১ এপ্রিল চুক্তি বাতিলের চিঠি দেয়া হয় জেআরএল কর্তৃপক্ষকে।
এ চিঠি পাওয়ার পর চুক্তি বাতিলের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা জজ আদালতে মামলা করে যমুনা রিসোর্ট লিমিটেড। আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২ এপ্রিল ওই সিদ্ধান্তের ওপর স্থিতাবস্থা দেয়। শুনানি শেষে ২২ এপ্রিল আবেদনটি খারিজ করে দেয় আদালত। এর বিরুদ্ধে জেআরএল হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করে। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই চুক্তি বাতিলের নোটিস ¯’গিত করে এবং রুলও জারি করে আদেশ দেয়। হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। গত রোববার বিষয়টিতে স্থিতাবস্থা জারি করে তা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
