দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ এপ্রিল: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো ও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।বুধবার এ মামলার শুনানি বেলা আড়াইটায় শুরু হয়। কিছুক্ষণ শুনানি করে এর কার্যক্রম বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন।অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।পরে আদালত থেকে বেরিয়ে ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান বলেন, নাইকো, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। আমরা এ মামলার ওপর আজ কিছু শুনানি করেছি। আগামীকাল আবার শুনানি করবো।প্রসঙ্গত, ১/১১ এর জরুরি অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে।
শাহবাগ থানায় নাইকো মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। এতে চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মরহুম), অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মরহুম), শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী এমকে আনোয়ার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিনমাসের জন্য স্থগিত করেন।একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন। পরবর্তী সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় স্থায়ী জামিনে আছেন খালেদা জিয়া।