DoinikBarta_দৈনিকবার্তা Rafiqul-Islam-Khan

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ এপ্রিল: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া ও জালভোটের মহোৎসবের এই সিটি নির্বাচন ৫ জানুয়ারির প্রহসনকেও হার মানিয়েছে।মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, সরকার সিটি নির্বাচনকে ঘিরে ৫ জানুয়ারির মতো আরো একটি প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভোটারদের ভোট দিতে দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়া হচ্ছে। সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন কেন্দ্রে বিরোধী এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। জালভোট ও এজেন্টদের উপর হামলার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং তাদের ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটারদের নিরাপদে ভোট প্রদান নিশ্চিত করার পরিবর্তে সরকারি দলের প্রার্থীদের নির্দেশ পালনে বেশি তৎপরতা প্রদর্শন করছে।

জামায়াত নেতা আরো অভিযোগ করেন, ৫২ এবং ৫৩ নং ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে সরকারদলীয় কর্মীরা। ৩৯ নং ওয়ার্ডের শেরে বাংলা সেন্টার দখল করে নিয়েছে সরকার সমর্থকরা। শাহজাহানপুর এলাকার দীপশিখা স্কুল, ডায়নামিক স্কুল, রিয়াল আইডিয়াল একাডেমি, আব্দুল গফুর শিক্ষাশিবির কেন্দ্র দখল করেছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এছাড়া অন্যান্য জায়গা থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে গণহারে জালভোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তেজগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়, খিলগাঁও মডেল কলেজ, শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, পল্টনের বধির স্কুল, উত্তর কাফরুল প্রাইমারি স্কুলে সরকার সমর্থকদের জালভোট দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।তিনি অভিযোগ করেন, রাজধানীর অধিকাংশ কেন্দ্রেই সাংবাদিকদের ঢুকতেই দেয়া হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে ঢুকতে দেয়া হলেও তাদের ক্যামেরা নিতে দেয়া হয়নি।পল্টন বধির স্কুলে জালভোট দেয়ার ছবি উঠাতে গেলে সাংবাদিকদের মারধর করে এবং তাদের ক্যামেরা ভাংচুর করে সরকার সমর্থকরা। পল্টনে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ৭ জন মহিলাসহ ২৭ জন এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩৯ নং ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল ওমেন্স কলেজে শেরেবাংলা থানা পুলিশ সাংবাদিকদের ক্যামরা নিয়ে ঢুকতে দেয়নি এবং কোন প্রকার ইন্টারভিউ না নেয়ার নির্দেশ দেয়।রফিকুল ইসলাম খান বলেন, এই নির্বাচনে তাদের এই ষড়যন্ত্র আর কূটকৌশলের বাস্তব প্রতিফলনের সাক্ষী হলো মহানগরবাসী। সরকার বারবার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার কথা বললেও কারচুপি আর জালভোটের মাধ্যমে একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের আরো একটি নাটক মঞ্চস্থ করল।