দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ এপ্রিল: কারচুপির অভিযোগে ৩সিটিতেই নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার পর ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও বর্জন করেছে দলটি। নানা অনিয়ম ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মওদুদ আহমেদ বলেন, আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে বলে আশা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার, নির্বাচন কমিশন, র্যাব-পুলিশ একাকার হয়ে গেছে। নির্বাচনে ৫ শতাংশ ভোটা ও এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পারেনি। অথচ বেলা ১২টার আগেই অনেক কেন্দ্রে ভোট শেষ হয়ে গেছে বলে ভোট দিতে গিয়ে ভোটাররা ফেরত আসেন। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে রাষ্ট্র একদলীয় ফ্যাসিবাদ আচরণ করেছে। নির্বাচনকে সরকার প্রহসনে পরিণত করেছে।সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা সিটি উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়রপ্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।
মওদুদ আহমেদের নির্বাচন বর্জন ঘোষণার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য শেষ হলে তাবিথ আউয়াল ও মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী নির্বাচনের শুরুতে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শণে গিয়ে বড় ধরণের অনিয়ম, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া, জালভোট ও ভোটারদের ভোটে বাধা প্রদানের কথা উল্লেখ করেন। তারা বলেন, এসব বিষয়ে কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃংখলা বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে অবহিত করে কোন ফল পাওয়া যায়নি। পরে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের বিয়য়গুলো অবহিত করেও আমরা কোন পদক্ষেপ দেখিনি। বরং বেলা বাড়ার সাথে সাথে সরকার দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর লোকজন একে একে কেন্দ্র গুলো দখলে নিয়ে নেয়।এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে জালভোট, কেন্দ্র দখলের অভিযোগে মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। আমীর খসরু অভিযোগ করেন, ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আওয়ামী লীগের কর্মীরা নগরের ৮০ ভাগ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। বিএনপি সমর্থক প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ও কর্মীদের বের করে দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিএনপির সভাপতি বলেন,এরা (আওয়ামী লীগ) যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন সাধারণ মানুষ আর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না।এদিকে নির্বাচনে নজিরবিহীন অনিয়মের প্রতিবাদে রাজনীতি থেকে মেয়রপ্রার্থী মনজুর আলম অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আর রাজনীতি করব না। আমি এখন থেকে সমাজসেবা নিয়ে ব্যস্ত থাকব।এর আগে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলম। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম হাজী দাউদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেয়ার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মনজুর আলম।তিনি বলেন, ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে না। কয়েকটি কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে ইসলামিক আন্দোন সমর্থিত প্রার্থী এম এ মতিনও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
অপরদিকে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন বর্জনের মত কোন ঘটনা তার পক্ষ থেকে ঘটেনি। মনজুর পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভোট বর্জন করেছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মঙ্গলবার বেলা সোয়া বারটার দিকে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভোট বর্জনের এ ঘোষণা দেন।বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে জালভোট দেওয়া, পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ব্যালটবাক্স দখল, ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রেস ব্রিফিংয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, এটা কোনো নির্বাচন হয় নাই। এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। ভোটারবিহীন এ নির্বাচনকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এ নির্বাচন আমরা বর্জন করি। এতে গণতন্ত্রের প্রহসন করা হয়েছে।প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ারও ঘোষণা দেন মওদুদ।মওদুদ বলেন, ঢাকার দুই সিটির অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র থেকেই আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন সরকার দলীয় সমর্থকরা। কোনো ভোটকেন্দ্রেই বিএনপির এজেন্টরা দাঁড়াতে পারেননি। এখন তারা নিজেরাই নিজেদের ভোট দিচ্ছেন।তিনি বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের হাতে একটি চিরকুট ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই চিরকুট থাকলে তাদের ভোট দিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে। না থাকলে ভোট দিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের প্রায় সব কেন্দ্র থেকে ভোটারদের তাড়িয়ে দিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।তারপরও নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ ভোটও পড়েনি বলে মন্তব্য করেন মওদুদ।দলটির ইলেকশন মনিটরিং টিমের সদস্যরাসহ উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় কেন্দ্র দখল,কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট বর্জন করেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলমও।নগরীর দেওয়ানহাট উন্নয়ন আন্দোলনের নির্বাচনী কার্যালয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।রাজনীতি থেকে অবসরেরও ঘোষণা দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনজুর আলম।মওদুদ বলেন, চট্টগ্রামেও নির্বাচন থেকে আমরা সরে এসেছি। বড় আশা নিয়ে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আদর্শ ঢাকা আন্দোলন ও আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদেরকে সমর্থন দিয়েছিলাম এই আশায় যে, জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার আন্দোলন আরও বেগবান করা যাবে। কী হয়েছে, আপনারা সবাই জানেন। এই নির্বাচন কোনো নির্বাচন হয়নি।আবার প্রমাণ হলো এই দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। আবার প্রমাণ হলো এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নাই বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের প্রার্থীদের নির্বাচন পরিচালনাকারী আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহবায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে মওদুদ বলেন, পরিবার নিয়ে এমাজউদ্দিন আহমেদ ভোট দিতে গিয়েছিলেন। তাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়। কিন্তু ভোট দেওয়ার পরে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কেন ভোট দিতে এসেছেন? আপনার ভোট দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। তার গাড়িতেও কিল-ঘুষি মারা হয়।মওদুদ আহমদ বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আবার প্রমাণ হলো, এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নেই। আজ অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আমরা যেটা আশঙ্কা করেছিলাম, সেটাই হয়েছে।
সুষ্ঠু তো দূরের কথা, নির্বাচন একেবারে অর্থহীন করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও র্যাব মিলে সরকারের ইচ্ছাপূরণ করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী, পোলিং এজেন্টদের নির্যাতন করে বের করে দিয়েছে।সরকার ও নির্বাচন কমিশন গণতন্ত্র রক্ষায় ব্যর্থতার আরেকটি বড় প্রমাণ দিলো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।ঢাকা উত্তরের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করেন, সরকার দলীয় লোকজনই বেশিরভাগ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করেন। কারা ঢুকবেন আর কারা ঢুকবেন না, তা তারাই নিয়ন্ত্রণ করেন। তাবিথ বলেন, তেজগাঁওয়ের একটি কেন্দ্রে যেতে তাকেও বাধা দেওয়া হয়।মিরপুরের একটি কেন্দ্রে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে একটি ব্যালটবাক্স খোলা দেখতে পান বলেও অভিযোগ করেন তাবিথ। ব্যালটবাক্সটি কেন খোলা, জানতে চাইলে পুলিশ কোনো উত্তর দেয়নি বলে তিনি জানান।দক্ষিণের মেয়র পদপ্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করেন, ৯৯ শতাংশ কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে। এসব জায়গায় সরকার দলীয় লোকেরা ব্যালটবাক্স ভরেছেন। যারা আসল ভোটার তারা সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভোট দিতে যাননি। ভোট চুরি নয়, ডাকাতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রেঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে সকালে ভোট শুরুর পর থেকেই অভিযোগ করেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা।ঢাকার দুটি এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অনেক কেন্দ্রে সকালে বিএনপি সমর্থিতদের এজেন্ট দেখা যায়নি।ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।ঢাকা দক্ষিণের এক কেন্দ্রে একটি বান্ডলে পরপর সব ব্যালটে ক্ষমতাসীন দলের কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতীকে সিল মারা দেখা গেছে একটি ভিডিওতে। পুরান ঢাকার একটি কেন্দ্রে ভোটের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসারকে সিল মারতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর প্রতীকে।সকালে ঢাকা দক্ষিণের ৩৫টি কেন্দ্রে মির্জা আব্বাসের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে তার স্ত্রী আফরোজা অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, কেন্দ্র দখল, কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলম। মঙ্গলবার সোয়া ১১টায় নগরীর দেওয়ানহাট উন্নয়ন আন্দোলনের নির্বাচনী কার্যালয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।এছাড়া রাজনীতি থেকে অবসরেরও ঘোষণা দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনজুর আলম।মনজুর আলম বলেন, চট্টগ্রামের ৮০ শতাংশ কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ ক্যাডারা। এখানে নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। ভোট কেন্দ্রে আমাদের কোন এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন এলাকায় আমার সমর্থকদের উপর হামলা করেছে তারা। তাই নির্বাচন বয়কট করতে বাধ্য হয়েছি। আর রাজনীতি করবেন না ঘোষণা দিয়ে মনজুর বলেন,‘আমি আর রাজনীতি করব না। সমাজসেবা নিয়েই থাকব। নগর বিএনপির সভাপতি ও মনজুর নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সকাল থেকে ভোট কেন্দ্র দখল, কারচুপি ও ব্যাপক অনিয়মের প্রতিবাদে আমরা ভোট বর্জন করলাম। এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া কেন্দ্র দখল, কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবার ভোট বর্জন করলেন মেয়র প্রার্থী ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন ও ইসলামী আন্দোলনের ওয়াইয়াজ হোসেন ভূঁইয়া।মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার দিকে ভোট বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেয়র প্রার্থী এম এ মতিন ও ইসলামী আন্দোলনের মহানগর শাখার সভাপতি জান্নাতুল ইসলাম।ইসলামী আন্দোলনের তিনজন এজেন্টের মাথায় আঘাত করে ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন জান্নাতুল ইসলাম।চড়কা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী এম এ মতিন ও টেবিল ঘড়ি প্রতীকে প্রার্থী ওয়াইয়াজ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, অধিকাংশ কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এখানে নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। ভোট কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা।এমনকি আমদের এজেন্টদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তাই নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি।