awamilig_2_30822

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ এপ্রিল: সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বাচনের দিন তিনি যে কোন অপতৎপরতা চালাতে পারেন।রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সাথে সাক্ষাৎ করে ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এ আশঙ্কার কথা জানান।সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়ার নেতৃত্বে ১৪ দল নেতারা সিইসির কাছে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগও দাখিল করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে আবার অস্থিতিশীল করতে এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বেগম জিয়া নির্বাচনী আচরণ বিধি ধারা ৬ এর ক, খ, ও ১০ এর ক, খ সহ বিধিমালা লংঘন ও নির্বাচনী আইন পরিপন্থী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। বেআইনিভাবে মোটর শোভাযাত্রা করে তিনি নির্বাচনী আইন লংঘন করছেন। এসব কাজ জনগণের ভোটাধিকার হরনের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিঘিœত করার প্ররোচণা। এসব কাজ উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের নামান্তর বলে দেশবাসী মনে করেন।

খালেদা জিয়ার নির্বাচনী আচরণবিধি পরপন্থী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ১৪ দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়।সাক্ষাৎ শেষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার যে রাজনৈতি ধারা, সেই ধারায় সুষ্ঠু নির্বাচন করা খুব কঠিন। সেই সতর্ক বার্তাটায় নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে দিয়েছি। খালেদা জিয়া তিন সিটি নির্বাচনে অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করার যড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যেন তিন সিটি নির্বাচনে কোন ধরনের সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারেন সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করা হয়েছ্।েনির্বাচনে ১৪ দল সেনাবাহিনী মোতায়েন চায় কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি না সেনাবাহিনীকে রেগুলার ফোর্স হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।খালেদা জিয়া কোন ধরনের সন্ত্রাস, নাশকতা, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে তিনি ইসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাসদের শিরিন আখতার এমপি, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদত হোসেন, ন্যাপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের রেজাউল রশীদ খান, জাতীয় পার্টির আবুল খায়ের চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের রিয়াজুল কবির কাওসার।