দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ এপ্রিলঃ পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি)রাজু ভাস্কর্যের সামনে নারীর বস্ত্রহরণ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদের কুশপত্তলিকা দাহ করেছে প্রগতিশীল বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ পরবর্তীতে প্রক্টরের এ কুশপত্তলিকা দাহ করে তারা।সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের একাংশের সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন, সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রী চক্রবর্তী রিন্টু, ছাত্র ফ্রন্টের অপর অংশের সভাপতি জোনার্দণ দত্ত নান্টু, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান তারেক, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর একাংশের সভাপতি সালমান রহমান,ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈকত মল্লিকসহ ১১টি বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক বলেন, টিএসসিতে যে পাশবিক নিপীড়ন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ এটা ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলে বেশি ভালো হবে না বলেও তিনি প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা এই ব্যর্থ নির্লজ্জ প্রক্টরকে তার গদিতে দেখতে চাই না। আমরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছি।
তিনি প্রক্টরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি সম্মান থাকতে নেমে যান। নইলে কিভাবে আপনাকে গদি থেকে নামাতে হবে সেটা আমাদের জানা যাবে না।বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক অমিত ফয়সাল বলেন, ছাত্রলীগের মদদেই টিএসসিতে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। তাদের মদদ ছাড়া এ ধরনের কিছু হওয়ার কথা না।জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অঞ্চলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে মেয়েরা অতিষ্ট বলেও তিনি জানান।সাইফুজ্জামান সাকন বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রক্টরের। তাই ক্যাম্পাসে কোনো অঘটন ঘটলে সেই দায়ভার প্রক্টরকেই নিতে হবে।এর আগে,বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অফিসের সামনে অবস্থান নেয় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকি আকতারের নেতৃত্বে প্রায় ৪০-৫০জন নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান নেয় এবং ভিসির অফিসের গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয়।এছাড়া বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের সামনে নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে অনুষদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা দোষীদের শাস্তি এবং দায়িত্বে অবহেলায় প্রক্টর ও জড়িত পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে দাবি জানান।