দৈনিকবার্তা-চট্টগ্রাম, ২৬ এপ্রিলঃ আগামী ২৮এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা এখন শেষ পর্যায়ে।চট্টগ্রাম শহরের সকলস্তরের মানুষ এখন নির্বাচনী উদ্দীপনার আক্রান্ত। শহরজুড়ে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, লিফলেট, নির্বাচনী অফিস, মাইকিং, সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ- আর চায়ের কাপে ঝড়।সময় মাত্র আর এক দিন। আজ রোববার দিবাগত রাত ১২টায় শেষ হয়ে যাচ্ছে সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা। তাই শেষ বারের মত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের মন জয়ের চেষ্টায় রয়েছেন প্রার্থীরা।এ নির্বাচনে মেয়র পদে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১২ জন হলেও মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আ জ ম নাছির উদ্দীন (হাতী) ও বিএনপি সমর্থিত মোহাম্মদ মনজুর আলমের (কমলালেবু) মধ্যে।অপর মেয়র প্রার্থীরা হলেন মো. সোলায়মান আলম শেঠ, আরিফ মঈনুদ্দীন, এম. এ. মতিন, আবুল কালাম আজাদ, মো. আলাউদ্দিন চৌধুরী, মো. ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, মোহাম্মদ শফিউল আলম, সাউফুদ্দিন আহমেদ রবি, সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা ও হোসাইন মোহাম্মদ মুজিবুল হক।
এছাড়া ৪১টি ওয়ার্ডে ৪১ জন কাউন্সিলর পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১৬ জন। আর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ১৪টি পদে প্রার্থী রয়েছেন ৬২ জন।এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৬ জন। ভোট কেন্দ্র ৭১৯টি, মোট কক্ষের সংখ্যা ৪ হাজার ৯০৬টি।রোববার সকালে নগরীর ভিআইপি ব্যাংকুইট হলে হাতী মার্কার সমর্থনে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য শেখ মাহমুদ ইছহাক। এসময় প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন। মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের পোলিং এজেন্টদের নির্বাচনী কৌশল প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কাছে প্রকাশ না করার শপথ করানো হয়।বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলমের ভোট কেন্দ্র আহবায়ক ও এজেন্টদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। রোববার দুপুরে নগরীর লালখান বাজার মোড়ের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির এ নেতা।এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিজিবি সদস্যরা নগরীতে টহল দি”েছন। দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আবদুল বাতেন জানান, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ৩০ প্লাটুন সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট গ্রহণের দিন তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন।