সুরঞ্জিত_113338

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ এপ্রিল: বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও হামলাকারীরা উভয়ই বাড়াবাড়ি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।শনিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোসা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, তিনিও (খালেদা জিয়া) বাড়াবাড়ি করেছেন। আবার যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারাও বাড়াবাড়ি করেছে। আমি কাউকেই সমর্থন করছি না। দুপক্ষকেই সংযত হতে হবে।

সুরঞ্জিত সেন আরো বলেন, নির্বাচন উৎসবে রূপ নিয়েছে। তিন সিটিতেই মানুষ নেমে গেছে। যে যার গুণগান গাইছে। খালেদা জিয়া বিরাট গাড়িবহর নিয়ে নেমেছিলেন। কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নির্বাচনী পরিবেশকে রুষ্ট করেছিল। এখন আর সেটা নেই।নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের দাবি মেনে নিয়ে নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী নামাতে রাজি হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রচলিত আইনে সেনাবাহিনী রিটার্নিং কর্মকর্তা অধীনে থাকবে। সেনা বাহিনী কোথায় থাকবে? কী করবে? সেটা উনিই নির্ধারণ করবেন। ঢাকার উত্তর দক্ষিণের মধ্যবর্তী স্থান ক্যান্টনমেন্ট। সেখান থেকে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী খুব সহজেই যে কোনো জায়গায় যেতে পারবে। সে কারণেই সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এটা নিয়েই হৈই চৈই শুরু হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিরোধীদলের এই অভিযোগকে অনাকাক্ষিত ও অবাঞ্ছিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি মনে করি এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করা ছাড়া কিছুই নয়। এই অজুহাত তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।সুরঞ্জিত বলেন, সিটি নির্বাচনে রির্টানিং কর্মকর্তার অধীনে সেনাবাহিনী থাকবে। রির্টানিং কর্মকর্তা ঠিক করবেন, কোথায় সেনাবাহিনী থাকবে আর কী করবে।তিনি বলেন, ঢাকা ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মধ্যবর্তী স্থানে ক্যান্টনমেন্ট। এখান থেকে উভয় দিকে চলাচল করা সহজ। কোথাও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত তাদের নিয়ে যেতে পারবেন।তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে বিএনপি নতুন করে হইচই ও প্রশ্ন তুলছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর।

সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে বিএনপি মানুষকে বিভ্রান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন সুরঞ্জিত।মানুষকে বিভ্রান্ত ও বাড়াবাড়ি না করে উভয়পক্ষকে শান্ত থেকে নির্বাচনে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।সিটি নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, তিন সিটি নির্বাচনে মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কোথাও কোনো ঝামেলা নেই। খালেদা জিয়া প্রচারণায় বের হয়ে কিছুটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। এখন তিনি বের না হলে পরিবেশ অশান্ত হবে না।তিনি আরও বলেন, এবার সিটি নির্বাচনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়টি প্রাধান্য পাওয়ায় খুবই ভালো হয়েছে।আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতি বিষয়ে সুরঞ্জিত বলেন, এটি মর্মান্তিক ঘটনা। দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করতে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।ডাকাতি প্রতিহত করতে বীরের মতো যারা মারা গেছেন, তাদের পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ইস্কান্দার মির্জা শামীমের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদি দলের নেতা হারুন চৌধুরীসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।