দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ এপ্রিল: ঢাকা,চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, রংপুর, বরিশালসহ গোটা দেশ শনিবার দুপুরে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে।কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই ভূমিকম্পের সময় লোকজন আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভবন হেলে পড়ার ও ফাটল ধরার খবর পাওয়া গেছে।এ ছাড়া হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।এ ছাড়া ভূমিকম্পজনিত কারণে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় একজন এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুরেসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পেশাগত সহকারী (প্রফেশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট) শহিদুল হাসানের তথ্যমতে, শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১১ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দূরে, নেপালে। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৫। প্রথম কম্পনটির পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, রিখটার স্কেল অনুযায়ী ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলে এর তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৯। তীব্রতা অনুযায়ী এটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। এটির গভীরতা ছিল ১৫ কিলোমিটার। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল।রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১১ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে তীব্র মাত্রার এই ভূমিকম্প অনুভূত হলে সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শাহ আলম এ তথ্য জানান।রাজধানী ঢাকায় আতঙ্কে বাড়ি-ঘর, বহুতল ভবন ও অফিস থেকে মানুষজন রাস্তায় নেমে আসে। ভূমিকম্পের এই তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৫।আবহাওয়া কর্মকর্তা জানান, শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১১মিনিট ৩০ সেকেন্ডে নেপালে এক তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৫।ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার আগারগাঁও ভূপর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
২ দফা ভূমিকম্পে কাঁপলো গোটা দেশ। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এই কম্পন অনুভূত হয়। মিনিট খানেক স্থায়ী থাকে সে কম্পন। ইউএস জিএস’র সংশোধিত তথ্য বলছে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৭.৯।
এর আগে তারা ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৫ বলছিল।এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় নেপালের পোখারার কাছে। নিমিষেই তা ভারত ও বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে যায়।দেশের সকল জেলা থেকেই কিছু সময়ের ব্যবধানে ভূমিকম্পের খবর আসে। অনেকেই বাসাবাড়ি থেকে বের হয়ে বাইরে অবস্থান নেন। বাংলানিউজের ব্যুরো অফিসের পাশাপাশি প্রায় সকল জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিই জানাতে থাকেন ভূমিকম্পের তথ্য।
প্রাথমিক খবরে জানা যায়, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি বহুতল ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। বঙ্গবাজার মার্কেটের পাশে বরিশাল প্লাজা নামের ৫ তলা একটি ভবন হেলে পড়েছে। যাত্রাবাড়ীতেও হেলে পড়েছে আরও দু’টি ভবন। ভূমিকম্প টের পেয়ে দ্রুত নামতে গিয়ে সাভারের আল মুসলিম গার্মেন্টের শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পে রাজধানীর শ্যামলী, তেজগাঁও, রামপুরা, লালবাগ, শাখারিবাজার ও বঙ্গবাজার এলাকায় বহুতল ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।এদিকে ভূমিকম্প আতংকে রাজধানী ঢাকায় উচু ভবন থেকে নামতে গিয়ে ৩ জন সামান্য আহত হয়েছেন।ভূমিকম্পের সময় রাজধানীর বংশালের রাজনীগন্ধা টাওয়ারের দ্বিতীয় তলা থেকে লাফ দিলে নিশান (২১) নামে এক যুবক আহত হয়।এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ছাত্র নাসির (২৭) ৬তলা থেকে লাফ দিলে আহত হয়।
ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার (২২) ক্যাস্পাসের দোতালার সিঁড়ি থেকে নামার সময় লাফ দিয়ে আহত হয়েছেন।ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সংবাদদাতা জানান, তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়।ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পে রাজধানীতে বেশ কিছু ভবন হেলে পড়েছে। তবে এতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। এসময় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। হেলে পড়া ভবনগুলোতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না তা এখনো জানা যায়নি।ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরের ডিউটি অফিসার ব্রজেন দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভূমিকম্পে পুরান ঢাকার বংশালে একটি ছয় তলা ভবন হেলে পড়েছে । এতে কেউ হতাহত হননি। সাভার প্রতিনিধি জানান, বেলা সোয়া ১২টার দিকে ভূমিকম্পের সময় তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে পদদলিত হয়ে সাভারের কর্ণপাড়া এলাকায় ‘আল মুসলিম গ্র“পের’ পোশাক কারখানায় বহু শ্রমিক আহত হন।সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কাদের নাজিম জানান, আহতদের মধ্যে অন্তত ৫০ শ্রমিককে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতদের মধ্যে এক পুরুষ শ্রমিক মাথায় মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় হাসপাতালে এসে মারা যান বলে দুপুরের দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন ।তবে বিকালে ওই চিকিৎসক সাংবাদিকদের বলেন, নিহত ওই ব্যক্তি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন।নিহত গয়া সরকার (২৫) কালিয়াকৈর উপজেলার গোলারটেক গ্রামের নারায়ণ সরকারের ছেলে বলে জানান ডা. আনোয়ারুল কাদের।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পে আহত শ্রমিক ও দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি একই সময়ে হাসপাতালে আসায় আমি গয়া সরকারকে কারখানার শ্রমিক মনে করেছিলাম। বিষয়টিতে আমারই ভুল হয়েছিল।এদিকে ওই কারখানার আহত শ্রমিকদের কয়েকজন বলেন, ভূমিকম্প অনুভূত হলে তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচতলা ওই কারখানা ভবন থেকে শ্রমিকরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে আনসার সদস্যরা বাধা দেয় এবং এ নিয়ে আনসারদের সঙ্গে শ্রমিকদের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা জোর করে নামতে গেলে পদদলিত হয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত হন।তবে মুসলিম গ্র“পের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভূমিকম্পের সময় নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ কারখানার কর্মকর্তাদের তদারকিতে সব শ্রমিককে বের করে আনা হয়। কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
শ্রমিকরা বের হওয়ার সময় বাইরে থেকে বহিরাগত কয়েকজন ইট ছুড়লে কয়েকজন শ্রমিক আহত হন বলে দাবি করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।এদিকে রামপুরার হাজি পাড়ায় পেট্রোল প্যাম্পের বিপরীত পাশে ছয় তলা ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ভূমিকম্পে রাজধানীর লালবাগে গিয়াস উদ্দিন টাওয়ার ও শাঁখারিবাজার ও তেজগাঁওয়ে একটি করে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পে শ্যামলীর আশা টাওয়ারে ফাটল ধরেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার বলেন, ‘ভূমিকম্পে আশা ভবনের বিপদজনক কিছু হয়নি। খবর পেয়ে আমরা ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বগুড়া:বগুড়ায় দু’ দফা ভূ-কম্পন অনুভুত হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ ভূ-কম্পনের ঘটনা ঘটে। এতে মানুষজনের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভুকম্পনে পুকুরের পানিতে ঢেউ পর্যন্ত সৃষ্টি হয়। প্রথম দফা ভু কম্পনের প্রায় আধা ঘন্টা পর দ্বিতীয় দফা ভুকম্পন অনুভুত হয়। ভু কম্পনের অনুভূত মাত্রা ছিলো অনেক বেশি। এতে বগুড়ার দুপচাচিয়ার দেয়াল চাপাপড়ে বয়েজ উদ্দিনের স্ত্রি মেরশেদা (৫৫) নিহত হয়।অপর দিকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিজরুল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে যাওয়া সহ ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে হয়েছে। এছাড়া নন্দীগ্রাম এর বিজরুল দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয় ও সোনাতলায় ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। শহরের বিআরটিসি মার্কেট সংলগ্ন এলাকা ও শেরপুর রোডে দু’টি ভবন হেলে পড়ার কথা শুনে শত শত উৎসুক লোকজন সেখানে ভীড় জমায়।দুপুর ১২ টা ১৩ মিনিটের দিকে আকস্মিকভাবে ভুমিকম্পন শুরু হওয়ার পর পরেই তা তীব্র মাত্রায় অনুভুত হয়। এতে লোকজন বাড়ি ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে রাস্তা ও খোলা জায়গায় এসে অবস্থান নেয়। লোকজনের মধ্যে দেখা দেয় ব্যাপক আতঙ্ক। ভুকম্পনে পুকুর ও জলাশয়ে ঢেউ সৃষ্টি হলে উৎসুক লোকজন তা দেখতে ভীড় করে। এদিকে শহরের বিআরটিসি মার্কেট লাগোয়া একটি ৫তলা ভবন ও শেরপুর রোডের একটি ভবন হেলে পড়ার কথা শুনে শত শত লোকজন সেখানে ভীড় জমায়। তবে ভবন মালিকরা জানিয়েছেন, তাদের ভবন হেলে পড়েনি। এদিকে ভুকম্পনে নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে একটি ভবনে ফাটল ও এর সীমানা প্রাচীরের ৭০ ভাগ ভেঙ্গে গেছে। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড.নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, ভুকম্পনে সময় আতঙ্কিত হয়ে অনেক রোগী হাসপাতালে থেকে বেরিয়ে আসে। এছাড়া বিজরুল দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভবনে ফাটল দেখা দেয়ায় এটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অপরদিকে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় সরকারী ডাকবাংলোর সীমানা প্রচাীর ভেঙ্গে পড়া সহ সেখানকার দ্বিগদাইর ইউনিয়নে দু’টি বিদ্যালয় ভবনে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে।
পাবনা প্রতিনিধি ঃ ভূ-কম্পনে আতংকিত হয়ে রাস্তায় পড়ে পাবনা পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রোকেয়া খানম ইতি (৬৭) নিহত এবং বিভিন্নস্থানে শাতধিক নারী-পুরুষ অসুস্থ্য হয়েছে। নিহত রোকেয়া পাবনা পৌর এলাকার গোপালপুর মহল্লার সোহরাব হোসেনের স্ত্রী ও পাবনা আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার রেখা এ মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। বেলা ১২টা ১৩ মিনিটে দেড় মিনিট স্থায়ী এই ভুকম্প অনুভ’ত হয়।নিহতের পারিবারিক সুত্র জানায়, রোকেয়া খাতুন বাড়ির পাশে সড়কে হাঁটার সময় ভূ-কম্পনে আতংকিত হয়ে রাস্তায় পড়ে আঘাত পান । স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া ভূ-কম্পনে আতংকি হয়ে পাবনা আদর্শ গার্লস হাইস্কুল, জাগির হোসেন একাডেমী, আটঘরিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের ৩০ শ্রমিকসহ বিভিন্নস্থানে শতাধিক নারী, পুরুষ, শিশু অসুস্থ্য হয়ে স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। ভূ-কম্পনে আতংকিত হয়ে ঈশ্বরদী ইপিজেডের অন্তত ৩০ জন শ্রমিক অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এছাড়া ঈশ্বরদী ইপিজেডের নাকানো নামের একটি কোম্পানীর ভবনসহ জেলার বিভিন্নস্থানের ১০/১২টি ভবনে ফাটল দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ভূমিকম্পের পর আতঙ্কে পরিনা আক্তার (২২)নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।শনিবার বেলা সোয়া ১২টায় ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে জ্ঞান হারালে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।মৃত পরিনা আক্তার কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা গ্রামের মো. সুকুমুদ্দিন মিয়ার স্ত্রী। তিনি স্বামীর সঙ্গে মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চলের সৈয়দপুর এলাকায় স্বপন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমূল হক ভূঁইয়া জানান, ভূমিকম্পের সময় পরিনা আক্তার তার দেড় বছরের ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ছিলেন। এ সময় ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। স্থানীয়রা তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভূমিকম্পে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ময়মনসিংহ: জেলায় ভূমিকম্পে ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণেশ্বর ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদ ধসে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ আহত হয়েছে আরও ১০ শিক্ষার্থী।শনিবার বেলা ১২টা ১২মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ধোবাউড়া থানার ওসি আব্দুল হক। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
আহতদের মধ্যে আহত এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী নিশ্চিত করেছেন। তবে স্থানীয়ভাবে এ ঘটনার বিস্তারিত খবর পাওয়া যায়নি।এদিকে শহরের অলকা নদীবাংলা, মফিজ উদ্দিন ইনডেস্ক প্লাজা ও হৃদয় টাওয়ারসহ বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন থেকে বসবাসকারীরা রাস্তায় নেমে আসেন।
এদিকে, ভূমিকম্পে ময়মনসিংহ শহরের নতুন বাজার বহুতল শপিং মল মফিজ উদ্দিন ইনডেক্স প্লাজার কয়েক তলায় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সোহেল রানা জানান, এ বহুতল ভবন দেবে যায়নি। তবে পেছনের দিকটা(৬ থেকে ৮ তলা পর্যন্ত) একটু ঘুরে গেছে।ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তিনি নিশ্চিত করে বলেন, বহুতল শপিং মলের ৫, ৬, ৭ ও ৮ তলার পেছনের দিকের সিঁড়ির পাশের দেয়ালের স্থানে স্থানে চুলফাটা সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মধ্যে একটু ফাটল বুঝা যায়। তাদেরকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।এসব বহুতল ভবনে ফাটল ধরেছে এমন গুজবে হাজারো উৎসুক জনতা ভবনের সামনের ভিড় জমায়। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও ঘটনাস্থলে এসে ফিরে যায়। এছাড়া শহরের কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, মিনিট খানেক স্থায়ী এই কম্পনের মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকায়, অলি-গলিতে সাধারণ মানুষ বাসা ছেড়ে বেরিয়ে আসে। অনেক অফিস, দোকানপাট, মার্কেট থেকেও লোকজন আতংকে রাস্তায় চলে আসে।চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক জসীম উদ্দিন বলেন, ভূমিকম্প হয়েছে। কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর এখন পর্যন্ত পাইনি। তবে মানুষজনের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছিল।সিলেটে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে। তবে, ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি। ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২ ছিলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া শাখারীবাজারের একটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে প্রাথমিক খবরে জানা গেছে।
দিনাজপুর: দিনাজপুরে ভূমিকম্পের প্রভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ও বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।কসবা ও পুলহাট এলাকার তিনটি বৈদ্যুতিক ফিডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ফিডারগুলো মেরামতের কাজ চলছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভূমিকম্প হওয়ার সময় শহরের বালুবাড়ী মহিলা কলেজ মোড় এলাকায় দুটি মোটরসাইকেল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল ৩ আরোহী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান স্থানীয়রা।অন্যদিকে, শহরের লিলির মোড়স্থ বাটাবাজার মার্কেট এলাকায় সড়কের ওপর পার্কিং করা অবস্থায় ১০টি মোটরসাইকেল পড়ে ভেঙে যায়। এছাড়া শহরের বাসুনিয়াপট্টি, মালদহপট্টি, বুটিবাবুর মোড়, স্টেশনরোড, মুন্সিপাড়া, বালুবাড়ী এলাকার কয়েকটি ভবনে ফাটলের খবর পাওয়া গেছে।
ফেনী: ভূমিকম্পে ফেনীর শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়কের ১০ তলার বাণিজ্যিক একটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।ফায়ার সার্ভিস জানায়, দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটে ভূমিকম্পে শহরের শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়কের ১০ তলার শাহ আলম টাওয়ারে তিন তলা থেকে ১০ তলা পর্যন্ত ফাটল দেখা দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওই টাওয়ারে অবস্থিত ব্যাংক বীমাসহ সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী জুয়েল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাম্মদ এনামুল হক, ফেনী পৌরসভা ও এলজিইডির প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে সিলগালা করে দেন।
যশোর: ভূমিকম্পে যশোর মুসলিম একাডেমি স্কুল ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ স্কুল বেজ অ্যাসাইনমেন্ট (এসবিএ) পরীক্ষা ও পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে।যশোর মুসলিম একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ জোহর আলী বলেন, ভূমিকম্পের পর দ্বিতল ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা গেছে। ফলে, বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ে চলমান এসবিএ পরীক্ষা ও পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রথম দফা প্রায় দেড় মিনিট ও পরে ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের দেয়ালে ৩টি জায়গায় ফাটল দেখা গিয়েছে।প্রায় দুই মিনিট স্থায়ী এ ভূমিকম্পের সময় কুষ্টিয়া শহর ও তার আশপাশ এলাকায় মানুষের মধ্যে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বিল্ডিংগুলো নড়ে ওঠে। পুকুর ও জলাশয়ে পানি ঢেউ তৈরি হতে দেখা যায়। শহরের মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি মুরু করে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ সব বিল্ডিং থেকে মানুষ বাইরে বেরিয়ে আসে।এদিকে ভূমিকম্পের সময় কুষ্টিয়ার মিরপুরে সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ১২জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ভূমিকম্পের সময় ভয় ও মাথাঘোরা এবং তাড়াহুড়ো করে বিদ্যালয় কক্ষ থেকে বাইরে বের হতে গিয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া উম্মে জেরিন ও শর্মিলাসহ অন্যান্যদের মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ: ভূমিকম্পনের ফলে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরায় মদন মোহন হাইস্কুলের একটি ৩ তলা ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল দেখা দিয়েছে স্কুলের পাশের একটি মসজিদেও।স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়েনউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মাগুরা: মাগুরার মহম্মদপুরে ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দুইটি স্কুলের ১৫ শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সদরের আরএসকেএইচ ইনস্টিটিউট ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মিতু(১২), রিমা(১২), খাদিজা(১৩), জাহানারা(১৫), জুথি(১৫), তাসলিমা(১৫), তুহিন(১৪), সুমি(১৬), হাজেরা(১৬) ও সালমা(১২)।মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মকছেদুল মোমিন জানান, ভূমিকম্পের সময় ওই ছাত্র-ছাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় ভয়ে বেশ কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে, শিক্ষার্থীদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
শামসুজ্জোহা ঃচুয়াডাঙ্গায় মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে দীর্ঘ সময় ভুকম্পন অনুভুত হয়েছে। বেলা ১২টা ১৮ মিনিটের দিকে প্রথম ভুমিকম্পন অনুভূত হয়। প্রায় ২ মিনিট এ ভুকম্পন স্থায়ী ছিল। এর ১০ মিনিট পর ১২ টা ৩৮ মিনিটে দ্বিতীয় দফায় স্বল্প মাত্রার ভুমিকম্প অনুভূতি হয়। প্রথম দফার ভুমিকম্পন সকলেই অসুভুতি করতে পারলেও দ্বিতীয় দফার ভুমিকম্প সকলে অনুভব করতে পারেনি।
প্রথম দফার ভুমিকম্পের সময় ঘরে থাকা মানুষজন দ্রুত ঘরের বাইরে বের হয়ে আসেন। তবে, রাস্তায় থাকা অনেক মানুষ ভুকম্পন বুঝতে পারেননি। ভুকম্পন শুরু হওয়ার পরপরই একযোগে ঘরে থাকা মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়ে এলে ভুকম্পনের তীব্রতা নিয়ে মানুষের স্পস্ট ধারনা হয়।
ইতি পূর্বেও চুয়াডাঙ্গায় ভুমিকম্পন অনুভুতি হলেও এতো দীর্ঘ সময় ধরে কখনও ভুমিকম্প স্থায়ী হয়নি। চুয়াডাঙ্গার ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ ও দীর্ঘ সময় ভুমিকম্পন হলো বলে মন্তব্য করেন মুরুব্বীরা (বৃদ্ধরা)।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল বলেন, ভুমিকম্পনের সময় আমি খাটে বসে ছিলাম। হটাৎ দেখি পুরোঘরই কাপছে। এসময় আমি উঠে দাঁড়াতেই মনে হচ্ছিল আমার পুরো শরীর টলছে। আমি ঠিক ভাবে ঘর থেকে বাইরে আসতে পারছিলামনা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জানান, ভুকম্পনের পরিমাপ নির্ণয় করার প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ চুয়াডাঙ্গায় নেয়। তবে, ঢাকা অফিস বলতে পারবে বিস্তারিত। ীতে ভূমিকম্পে ১০ তলা ভবনে ফাটল, আতংক, ভবন বন্ধ ঘোষণা
ফেনী :ফেনী শহরের এস.এস.কে সড়কের শাহ আলম টাওয়ারে ফাটল আতংক দেখা দিয়েছে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভূকম্পনে এ আতংক ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১২টা ১৪ মিনিটের দিকে ৭.৫ স্কেলে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এতে ১০ তলা বিশিষ্ট টাওয়ারের লোকজন বেরিয়ে যায় এবং শহর জুড়ে টাওয়ার ধ্বসের আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৮ সালে ১০ তলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এতে প্রায় ২ শতাধিক দোকান, ব্যাংক, বীমা, কুরিয়ার ও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে।
টাওয়ারের ৫ম তলা নীওফাইট গ্রুপ এর এক্সকিউট এব আইটি মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, সাভার রানা প্লাজা ধ্বসের ভয়াবহতা মনে পড়লে আমারা এখনো আঁৎকে উঠি। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশংকায় সবাই ছুটোছুটি করে বেরিয়ে পড়ি। এদিকে শাহআলম টাওয়ারে ফাটল দেখা দেয়ার ঘটনায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ এনামুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কমর্কতা পি.কে এনামুল করিম ঘটনাস্থল ছুটে আসেন।এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী জুয়েল খান জানান, ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনটির ৩য় তলা থেকে ৮ম তলা পযর্ন্ত ফাটল দেখা গেছে।ফেনী সদর উপজেলা নিবাহী কমর্কতা পি.কে এনামুল করিম জানান, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ফাটল দেখা দেয়ায় টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত ভবনটি তালাবদ্ধ থাকবে বলে জেলা প্রশাসন সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বলে তিনি আরো জানান।
নাটোর :নাটোরে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ব্যাপী পরপর দুইবার জোড় ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১২ টা ১৩ মিনিট এবং ১২টা ৪৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূকম্পন দীর্ঘক্ষন স্থায়ী হওয়ায় সকল ভবন থেকে ভীত সন্ত্রস্ত মানুষজন দ্রুত রাস্তায় নেমে আসে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও স্কুল ভবন থেকে বের হয়ে আসে। ভূমিকম্পে শহরের দু’একটি বিল্ডিংয়ে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। নাটোর জেলা প্রশাসক মশিউর রহমান জানান, ভূমিকম্প অনুভুত হলেও জেলায় বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।দুপুরে মৌলভীবাজারে ভূ-কম্পন অনুভূত হয়শনিবার দুপুর ১২ টা ১৪ মিনিটে মৌলভীবাজার জেলায় ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া অফিস জানায় পরপর ২ দফা এই এ ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব ছিল ৯ সেকেন্ড। এই সময় স্কুল কলেজ ও বাসা বাড়ির লোকজন আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে চলে আসে। তবে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি।
মংলা:মংলায় ভূমি ও জলকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ ভূকম্প অনুভূত হয়। এ সময় বহুতল ভবনে থাকা লোকজন দ্রুত ভবন থেকে নেমে নিচে অবস্থান নেয়। পথচারীসহ সাধারণ লোকজনের দৃষ্টি ছিল বহুতল ভবনগুলোর দিকে। আতংকিত হয়ে সাধারণ লোকজন তাদের বসত ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাহিরে বের হয়ে আসে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানের পুকুর, নদী-খালের পানি উপচে পাড়ের উপর-নিচে গড়ানোর দৃশ্য দেখতে লোকজনের ভিড় জমে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
লালমনিরহাট ঃলালমনিরহাট জেলায় শনিবার দুপুরে শক্তিশালী ভুমিকম্প অনুভুত হয়েছে। এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। দুপুর ১২.১৪ মিনিট থেকে দুপুর ১২.১৬ মিনিট পর্যন্ত ২ মিনিট স্থায়ী এ ভুমিকম্প অনুভুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাণভয়ে মানুষ বিভিন্ন ভবন থেকে বের হয়ে রাস্তা, সড়ক ও পার্শ্ববর্তী খোলা জায়গায় অবস্থান নেয়। বিভিন্ন কারখানাগুলো থেকে শত শত শ্রমিক রাস্তায় নেমে এলে জটের সৃষ্টি হয়। অফিস-আদালতে মুহুতের মধ্যে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় জেলার ঘরবাড়িগুলো কয়েক দফা কেঁপে ওঠে।ভোলায় ভূ-কম্পণে জন সাধারণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি
ভোলা প্রতিনিধি:ভোলায় ভূ-কম্পণ অনুভূত হওয়ায় জন সাধারণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বেলা সোয়া ১২ টায় এই ভূ-কম্পণ অনুভূত সৃষ্টি হয়। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ভূ-কম্পণে জেলার অনেক উপজেলায় আতংক ছড়িয়ে পরে। তবে হতাহতের তেমন কোন খবর পাওয়া না গেলে ও লালমোহন উপজেলার গজারিয়া বাজারে নিউ মার্কেটের ছাদের কিছু অংশ ধ্বসে পরে । জানা যায়, ১২ টায় এই ভূ-কম্পণ অনুভূত সৃষ্টি হলে উপজেলার গজারিয়া বাজারে নিউ মার্কেটের ছাদের কিছু অংশ ধ্বসে পরে । এতে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা সহ আশপাশের লোক জনের মধ্যে আতঙ্ক ছরিয়ে পরে। অপরদিকে ভূ-কম্পণের ফলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাছের পুকুর ও জলাসয়ের পানি কম্পণ করতে থাকে এবং জেলার বিভিন্ন অফিস ও বিদ্যালয়ের ভবন কাঁপতে থাকে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা ভবন ছেড়ে বাহিরে রাস্তায় অবস্থান নেন। ভূ-কম্পণে ফলে জেলার অনেক উপজেলায় আতংক ছড়িয়ে পরে।
মানিকগঞ্জ: ভূমিকম্পে মানিকগঞ্জের তারাসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানার পাঁচ তলা ভবন থেকে তড়িঘড়ি করে নামতে গিয়ে অর্ধশতাধিক নারী শ্রমিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ১১ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।শনিবার দুপুরে ভূমিকম্প অনুভূত হলে ওই ভবনে কর্মরত তিন হাজার শ্রমিকের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
আহত শ্রমিকেরা জানান, ভূমিকম্পনের সময় প্রায় তিন হাজার শ্রমিক পাঁচ তলা ওই ভবনে কাজ করছিল। এ সময় আতঙ্কে তারা দ্রুত নিচে নামতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি ও দেয়ালচাপায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ১১ জনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনিছুর রহমান জানান, আহতদের শরীরের কোনো ধরনের আঘাত নেই। আতঙ্কে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় স্যালাইনসহ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।এদিকে, ভূমিকম্পে আতঙ্কিত মানুষ অফিস-আদালত ও ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। ভূমিকম্পনের কারণে পুকুর, খাল-বিল ও নদীর পানিতে ঢেউের সৃষ্টি হয়।
নীলফামারী: ভূমিকম্পের প্রভাবে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের পরচুলা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এভারগ্রিন ও পোষাক তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান ম্যাজেনের কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।শনিবার দুপুরে ভূমিকম্পের পরপরই ওই দুই প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এ সময় ভবন থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অন্তত ৭ শ্রমিক আহত হয়।এদিকে, সৈয়দপুর শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র সৈয়দপুর প্লাজা থেকে নামতে গিয়ে অন্তত ১৫ শ্রমিক আহত হয়। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তবে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রিনের সহকারী ব্যবস্থাপক সাইদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পর সতর্কতার জন্যই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ছুটি ঘোষনা করি। বিশেষজ্ঞ ও সিভিল প্রকৌশলীরা ভবন পরিদর্শন করে জানাতে পারবেন আসলে কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না। তার প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার শ্রমিক কাজ করেন বলে তিনি জানান।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কারখানার কয়েকশ্রমিক জানান, কারখানার সামনে ও পিছনের ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।জেলা প্রশাসক মো. জাকীর হোসেন জানান, ক্ষয়ক্ষতির কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি। উত্তরা ইপিজেডে ভবনে ফাটলের কথা শোনা গেলেও ইপিজেড কর্তৃপক্ষ কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে তাকে জানিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ভূমিকম্পে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী-বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের দোতলা থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে স্কুলের ৭ ছাত্রী আহত হয়েছেন।শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।রূপসদী-বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ জমাদ্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, বিদ্যালয়ের দোতলা ভবন থেকে নামতে গিয়ে অষ্টম শ্রেণির ২ ও ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ৫ ছাত্রী আহত হয়েছেন।আহতরা হলো- অষ্টম শ্রেণির রোজিনা আক্তার ও আরাফাতি আক্তার, ৬ষ্ঠ শ্রেণির রুবি আক্তার, ফারজানা আক্তার, মরিয়ম আক্তার, শ্রাবন্তী আক্তার ও তৃষা আক্তার। আহত ছাত্রীরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। সুনামগঞ্জ: ভূমিকম্পে সুনামগঞ্জের করচার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের একাংশের মাটি ধসে গেছে। এতে কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।শনিবার দুপুর সোয়া ১২টায় সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলায় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের নির্বাহী টওকৌলশী ইকবাল আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমদকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।তিনি আরো জানান, করচার হাওরের বোরো ফসল রক্ষা এ বাঁধে রাবার ড্যাম প্রকল্পের কাজ চলছে। ভূমিকম্পে বাঁধের পশ্চিম পাশের মাটি ধসে গেলেও বাঁধের তেমন ক্ষতি হবে না। এছাড়া খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধ মেরামতে কাজ শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমদ জানান, এ বাঁধের ওপর সদর উপজেলা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওরের ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর বোরো ফসল নির্ভরশীল।জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, তাৎক্ষণিকভাবে জেলার কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বাগেরহাট: ভূমিকম্প অনুভব করে বাগেরহাটে খাদিজাতুল কুবরা নামে এক মাদরাসাছাত্রী বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। পরে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।শনিবার দুপুরে সারা দেশের ন্যায় বাগেরহাটেও একযোগে উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।খাদিজার বাবা জানান, ভূমিকম্প অনুভব করে খাদিজা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দেড় ঘণ্টা পর সে স্বাভাবিক হয়।খাদিজা বাগেরহাট সদর উপজেলার পশ্চিমভাগ বেলায়েত দাখিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।
এদিকে, ভূমিকম্পে মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখে দেয়। আতঙ্কিত মানুষেরা ঘর ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নেয়। জলাশয়ের পানিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ সময় মাছ, সাপ, ব্যাঙ লাফিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুর,: ফরিদপুর জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আতংকে মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে আসে।জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ভূমিকম্পে জেলায় কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।মেহেরপুর সংবাদদাতা জানান, আজ দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটে জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আতংকে মানুষ ঘরবাড়ি তেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি।
সিরাজগঞ্জ,:শনিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসময় অফিস ও বাড়িঘরে লোকজন আতংকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।প্রায় দেড়মিনিট স্থায়ী এই ভূমিকম্পের সময় মুসলমানেরা উ”চস্বরে দোয়া ও হিন্দুদের উলুধ্বনি দিতে শোনা যায়। বাড়িঘর দুলতে শুরু করলে মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। সিরাজগঞ্জ শহরের এস এস রোডের বৃদ্ধ আব্দুল্লাহ জানান, এমন দীর্ঘ ভূমিকম্প তিনি আগে কখনো দেখেননি। চাঁদপুর: শহরের নতুনবাজার এলাকায় ‘মাকসুদা মহল-১’ নামের ছয়তলা একটি ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত লোকজন ভবন থেকে রাস্তায় চলে যায়। শহরের ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের ভাষ্য, ভূমিকম্পের সঙ্গে সঙ্গে শহরের লেকের পানিও অনেকটা ওপরে উঠে যায়। জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী: আতঙ্কে অচেতন ১৬ নারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই হাসপাতালে দুজন পুরুষকে অচেতন ও একজন পুরুষকে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। আহত ও অচেতন রোগীদের হাসপাতালের ৩৭, ৩১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আতিকুর রহমান জানান, ভূমিকম্পের সময় ভয়ে তিনি তিনতলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার এ বি এম মাহাবুবুল হক জানান, আতঙ্কে মেয়েরা তাদের চেতনা হারিয়েছে। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। এ নিয়ে ভয়ের কারণ নেই। রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টাফ অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, নগরের সাগরপাড়া এলাকায় চিকিৎসক সুজিত ভদ্রের তিনতলা বাসা, ভেড়িপাড়া কেশবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন ও মসজিদ মিশন স্কুলের তিনতলা ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় মোশারফ হোসেনে কারিগরি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ একাডেমির পাঁচতলা ভবন, কাদিরগঞ্জে তিনতলা বাণিজ্যিক ভবন, রানিবাজার বাটার মোড়ে তিনতলা বাণিজ্যিক ভবন ও মনি চত্বরে চারতলা একটি বাণিজ্যিক ভবন হেলে পড়েছে। এ ছাড়া বাঘায় একটি চার তলা ভবন হেলে পড়েছে।