দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ এপ্রিল: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের সোনালী ব্যাংক স্টাফ কলেজ সংলগ্ন ৮ নম্বর বস্তিতে গিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরুকরেন।তাবিথ বস্তির ঘরে ঘরে গিয়ে বাস মার্কায় ভোট চান এবং ‘নতুন প্রজন্ম-নতুন ঢাকা’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এরপর তিনি সেখান থেকে রেললাইন-সংলগ্ন সেলিমের বস্তিসহ আশপাশের বিভিন্ন বস্তি এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভোট ও দোয়া চান।
এসব এলাকায় গণসংযোগ শেষে তাবিথ আউয়াল মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত দুটি নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। সকাল ১০ টায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং বেলা ১১টায় তিনি দৈনিক যুগান্তর আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন।মতমিনিময় শেষে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের এই মেয়র প্রার্থী বাস মার্কায় ভোট চাইতে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।এছাড়া তাবিথ আউয়াল মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, পূর্ব খিলগাও, পশ্চিম খিলগাও , হাজীপাড়া, মগবাজার ওয়ারলেস গেট এবং ফার্মগেটের গ্রিন সুপার মার্কেট, আনন্দ সিনেমা হল এলাকা, ফার্ম ভিউ সুপার মার্কেট ও জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় গণসংযোগ করেন। এসব গণসংযোগে মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ছাড়া ¯’ানীয় কান্সিলর প্রার্থী ও দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিকালে গণসংযোগ কর্মসূচির বাইরে ব্যক্তিগতভাবে তেজগাঁও ক্যাথলিক চার্জ পরিদর্শন করেন তাবিথ আউয়ালএদিকে, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির দ্বিতীয় বছর পূর্তিতে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সদস্যদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তনি।
শনিবার এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতৃত্বতাধীন ২০ দলীয় জোটের এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ২০১৩ সালের সাভার রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি পৃথিবীর ইতিহাসে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ওই ঘটনায় ১ হাজার ১৩৬ জন গার্মেন্টকর্মী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। তাবিথ আউয়াল বলেন, ট্র্যাজেডির দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণের অর্থ পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে নিহতের পরিবার এবং হাত, পা হারানো পঙ্গু হওয়া হাজারো খেটে খাওয়া মানুষ। তাবিথ আউয়াল সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, সরকারের তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ থাকা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণের অর্থ সঠিকভাবে বন্টন না করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা এবং আন্তরিকতা নিয়ে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা কড়া সমালোচনা করেছে। খবর বেরিয়েছে বিশ্ব গণমাধ্যমেও। এতে দেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে খর্ব হয়েছে। এতে সংকটে পড়তে পারে পোশাক শিল্পখাত।
দ্রতি ক।সতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে পর্যান্ত অর্থ ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে তাদের মানবতার জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান তিনি।