দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ এপ্রিল: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জে.মাহবুবুর রহমান বলেছেন, সেনা মোতায়েন নিয়ে দেশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। মানুষ দেখতে চায় দৃশ্যমান সেনাবাহিনী। আমরা আইওয়াশের সেনা দেখতে চাইনা,বাংলাদেশের সংকট গনতন্ত্র এবং আইনশঙ্খলার সংকট এই সংকটকে সেনাবাহিনী দৃশ্যমান থেকে মোকাবেলা করতে হবে।আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কমিশনারদের নষ্ট হয়ে যাওয়া ভাবমূর্তি ফিরে পাবার একটা বিরাট সুযোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন ।শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলা কারীদের গ্রেফতার এবং মির্জা ফখরুল সহ-সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবীতে এক মানবন্ধনে তিনি এ সব কথা বলেন।মাহবুবুর রহমান বলেন,‘জনগন যখন জেগে উঠেছে যারা ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট দিতে পারে নি তারা এই নির্বাচনে প্রতিশোধ নিতে চায়।কিন্তু সরকার সেটা বুঝতে পেরে আগের অবস্থা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এমত অবস্থায় নির্বাচন কমিশনারদেরকেও বুঝতে হবে এটা তাদের নষ্ট হয়ে যাওয়া ভাবমুর্তি ফিরে পাবার বিরাট সুযোগ।
বেগম খালেদা জিয়াকে টার্গেট করে গুলি করা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যেখানেই প্রচার করতে বের হচ্ছেন তার উপর অতর্কিত হামলা করা হচ্ছে এমনকি তাকে মেরে ফেলার জন্য গুলি করা হচ্ছে।’জনগন জানে এই ঘটনা গুলো কারা ঘটাচ্ছে।কিন্তু নির্বাচন কমিশনার জানার পরও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। সকল কিছুর জন্য দায়ী এই কমিশন।একই সঙ্গে সেনা মোতায়নের নামে তিন সিটি নির্বাচনকে আইওয়াশ না বানিয়ে বাস্তবেই সেনাবাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানান তিনি।মাহবুবুর রহমান ইসি’র উদ্দেশে বলেন, সেনাবাহিনী এদেশের সব দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে ছিল। সিটি নির্বাচনে এই বাহিনীকে বিতর্কিত করবেন না।তিনি বলেন, বিএনপির দাবি ছিল এ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সেনা মোতায়েনের। কিন্তু এটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন নাটক করছে।নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেওয়া, হামলা করা হচ্ছে। এতে ভোটের দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রচারাভিযানে এভাবে হামলা,বাধায় সন্দেহ হচ্ছে নির্বাচনই হবে কিনা। জাতীয়তাবাদী শক্তি জেগে উঠেছে। তাদের সমান সুযোগ দিতে হবে।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর হামলাকারীরা চিহিৃত দাবি করে মাহবুবুর রহমান বলেন, খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলা করেছে সরকারি দলের চিহিৃত সন্ত্রাসীরা। অথচ সরকার বলছে তাদের চেনে না!হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব বিএনপি নেতাদের মুক্তি দাবি করেন মাহবুবুর রহমান।মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন,বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার হায়দার আলী,আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,কৃষদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিয়া সম্রাট ।