দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ এপ্রিল: সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নতুন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেছেন, ইসি যে সরকারের ইচ্ছায়’ চলছে, সেনা নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলই তার প্রমাণ।শুক্রবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচারে নেমে তোপখানা রোডে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ।তিনি বলেন, সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আমাদের হতাশ করেছে। সেনাবাহিনীকে টহলে রাখার সিদ্ধান্ত তুলে নিয়ে তারা পুলিশ ও র্যাাব দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করছে। আমরা মনে করি, সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন প্রমাণ করে যে, বর্তমান ইসি সরকারের ইচ্ছায় পরিচালিত হচ্ছে।’বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে এলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘তার প্রয়োজন নেই’ বলে মত দিয়ে আসছিল।এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন গত বুধবার জানায়, ২৮ এপ্রিল ভোট ঘিরে চারদিন সেনাবাহিনী রিজার্ভ ফোর্স ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা চাইলে তারা কাজে নামবে।
ওই রাতেই সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে চিঠি দিয়ে তিন ব্যাটালিয়ন সেনা চাওয়ার পর বৃহস্পতিবার আরেক চিঠিতে নতুন সিদ্ধান্ত জানায় ইসি। এতে বলা হয়, সেনা সদস্যরা সেনানিবাসের ভেতরেই থাকবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা অনুরোধ করলে তারা বাইরে আসবেন।এর ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, তাদের তো এক জায়গায় থাকতে হবে। আমরা মনে করেছি, ক্যান্টনমেন্টই তাদের জন্য বেস্ট পজিশন।
ইসির এ সিদ্ধান্তের সমালোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সাবেক সেনা প্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা নাটক দেখতে চাই না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনাবাহিনীকে আমরা ভোটগ্রহণের দিন দৃশ্যমান দেখতে চাই।তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী দেখতে চাই। দেশের মানুষ ও ভোটাররা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আস্থাশীল। দেশের গণতন্ত্র প্রশ্নে যে সংকট চলছে, তার উত্তরণে আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। সেনাবাহিনী দৃশ্যমান থাকলে’ ভোটাররা ‘নির্ভয়ে’ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, দেশের মানুষ ও নাগরিকরা চায় সেনাবাহিনীকে সেনানিবাসে নয়, দৃশ্যমান রাখা হোক।