দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ এপ্রিল: ক্ষমতাসীন সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২৮ এপ্রিলের নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ।শুক্রবার সকালে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের নির্বাচনী অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।হান্নান শাহ বলেন, নির্বাচন কমিশন সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভেল্কিভাজি শুরু করেছে। ক্যান্টনমেন্ট সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত নয়, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হলে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে নিয়ে এসে তাদের দায়িত্ব দিতে হবে।সরকারের নীল নকশার অভিলাষ পূরণ করতে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা সিটি নির্বাচনে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।হান্নান শাহ বলেন, সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের আশেপাশে যারা থাকেন তাদের কাছে অস্ত্র থাকলেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী কিছুই বলছে না।
নির্বাচন কমিশন প্রহসনের নির্বাচন করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য (অব.)ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহ। তবে নির্বাচন কমিশন যদি প্রহসনের নির্বাচন করে তবে তা প্রতিহত করা হবে।হান্নান শাহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯৯ শতাংশ ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এমন কোনো আশাবাদ দেখাতে পারেনি তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে। তবু আমরা আশাবাদী।সরকার নীল নকশা অনুযায়ী তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা নীল নকশার মাধ্যমে নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছেন। আমাদের প্রার্থীর ক্যাম্পে আক্রমন করা হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। কমিশন যদি প্রহসনের নির্বাচন করতে চায় তা করতে দেবো না। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা মজুদ থাকবে এবং ভোট ছিনতাইকারীদের প্রতিহত করবে। নির্বাচন প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। এজন্য পোলিং ও প্রিসাইডিং অফিসারদের ব্রিফিং দেওয়া হচ্ছে কিভাবে নির্বাচন করতে হবে।
হান্নান শাহ বলেন,এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহন করেছি। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিতে পারলে মির্জা আব্বাস অবশ্যই বিজয়ী হবেন। বিগত ২৪ ঘণ্টায় যা দেখেছি সেনা মোতায়েনের নামে নির্বাচন কমিশন ভেলকিবাজি দেখিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন। সেনা মোতায়েনের খবরে সবাই ভীষণ খুশি হয়েছিল।সরকার দলের সন্ত্রাসীরা সেনা মোতায়েনের খবরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন বলছে, সেনাবাহিনী সেনানিবাসের মধ্যে মোতায়েন থাকবে। সেনানিবাস সিটি করপোরেশনের অধীনে নয়। প্রত্যেকটি প্রার্থী চাচ্ছেন সেনাবাহিনী মোতায়েন হোক। নির্বাচন চলাকালে শ্যামবাজার বা গেন্ডারিয়ায় যদি ঝামেলা হয় তখন তারা তা কিভাবে সামাল দেবেন। সন্ত্রাসীদের কিছু করতে ১০ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না। পরে সেনাবাহিনী এসে বলবে অপারেশন সফল হয়েছে।
আফরোজা আব্বাস মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচারণার সময় ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল খায়ের বাবলুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেন হান্নান শাহ। পোলিং এজেন্টদের পরিবারকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।যেখানে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে সেখানে আমরা আর কি আশা করতে পারি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।