দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ এপ্রিল: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সাঈদ খোকন বলেছেন, জনগণের সঙ্গে তার সম্পর্ক। জনগণই তার সেনাবাহিনী। তার সেনাবাহিনী দরকার নেই।শুক্রবার নিউমার্কেট কাঁচাবাজার তিন নম্বর বিজিবি গেটে এলাকায় জনসংযোগের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।সাঈদ খোকন বলেন, নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ করতে হবে যানজট সমস্যার সমাধান করা। আমি নির্বাচিত হলে প্রথমদিন থেকেই কাজ করতে পারবো। কারণ আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।তিনি বলেন, ঢাকা সিটিতে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। যিনি মেয়র হবেন, এসব সমস্যা সমাধানে তাকে প্রথমদিন থেকেই কাজ করতে হবে। ‘আমি নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনে বসবাসরত জনগণের জন্য প্রথমদিন থেকেই কাজ শুরু করবো।
নিজেকে ঢাকার সন্তান দাবি করে তিনি বলেন, ঢাকাবাসীর প্রতি আমার হক বেশি। আমি নির্বাচিত হলে নগরপিতা নয়, সন্তান হিসেবে নগরবাসীর সেবা করব।এরপর নিউমার্কেট থেকে আজিমপুর কবরস্থানে গিয়ে বাবা মোহাম্মদ হানিফের করব জিয়ারত করেন সাঈদ খোকন। সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ‘ইলিশ মাছ’ মার্কা প্রতীক নিয়ে। এদিকে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সমর্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকনকে সমর্থন প্রদান করেছেন। তিনি শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি,কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, নজরুল ইসলাম বাবু এমপি এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হোসেন রিপন উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে জাসদ ঢাকা মহানগর সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, জাসদ ¯’ায়ী কমিটির সদস্য শিরীন আখতার, জাসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খালেদ, এডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত প্রমুখ উপ¯ি’ত ছিলেন। মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার বিষযটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ,পাশাপাশি সন্ত্রাসের গড ফাদার এবং নৈরাজ্য-নাশকতা সৃষ্টিকারীদের কেউ যেন কোনভাবেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচিত হতে না পারেন সেটাও জনগণের স্বার্থে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। শহীদুল ইসলাম চলমান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাঈদ খোকনের সমর্থনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেন।