দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ২৩ এপ্রিল: কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দীন বলেছেন, দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুনের বেশি কারাবন্দি রয়েছে। দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে ৩৪ হাজার কারাবন্দি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে, অথচ সেখানে প্রায় ৭৪ হাজার কারাবন্দি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, কারাগারগুলোর ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেরানীগঞ্জে একটি নতুন কারাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন এই কারাগার নির্মাণ হলে এ সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্স প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ‘৪৫তম ব্যাচ কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সে’র সমাপনি কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এ সময় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক গোলাম হায়দার খান, কাশিমপুরস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১এর সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা, পার্ট-২ এর সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক, হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রিয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান, মহিলা কারাগারের জেল সুপার জাহানারা বেগম, গাজীপুর জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুবাস চন্দ্র ঘোষসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কারা মহাপরিদর্শক আরো বলেন, কারারক্ষীদের যথাযথ প্রশিক্ষনের অভাবে তাদের কাছ থেকে কাংখিত মানের সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। আবাসন সংকটের পাশাপাশি লোকবল সংকটও রয়েছে কারাগারগুলোতে। ১৯৮৪ সালের লোকবল নিয়ে কারাগারগুলোর নিরাপত্তা বিধান করতে হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে করা হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে আরো ত্যাগ স্বীকার করে দায়িত্ব পালনের জন্য কারারক্ষীদের আহবান জানান।এর আগে কারা মহাপরিদর্শক কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্স প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌছে প্রশিক্ষণার্থীদের প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং কুজকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন। এসময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে তিনি কৃতি প্রশিক্ষণার্থী ৩জনকে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত কারারক্ষীদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন গাজীপুর জেলা কারাগারের কারারক্ষী মো. শামীম মিয়া, দ্বিতীয় হয়েছেন কুমিল্লা কেন্দ্রিয় কারাগারের কারারক্ষী শিমুল আক্তার এবং তৃতীয় হয়েছেন চুয়াডাঙ্গা কারাগারের মো. ফারুক হোসেন। অনুষ্ঠানে কারা মহাপরিদর্শককে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ৪ সপ্তাহব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষন কোর্সে দেশের বিভিন্ন কারাগারের ১১৬ জন কারারক্ষী অংশ গ্রহণ করেন।