দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ এপ্রিল: আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুভঙ্করের ফাঁকি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহ।বৃহস্পতিবার দুপুরে ২০ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। হান্নান শাহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন হান্নান শাহ।
হান্নান শাহ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় সরকার বিভিন্ন পথ খুঁজছে। নির্বাচন থেকে আমাদের সরিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছে সরকার। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন থেকে সরবে না।সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ঢাকা উত্তরে তাবিথ এম আউয়াল এবং দক্ষিণে মির্জা আব্বাসের নিরঙ্কুশ বিজয় হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পুলিশ এবং সরকারি দলের নেতারা নানাভাবে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন হান্নান শাহ।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. আসম হান্নান শাহ অভিযোগ করেন, সিটি করপেরেশন নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরানোর পাঁয়তারা করছে। একইসঙ্গে সেনাবাহিনী মোতায়েন না করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ধোকার শামিল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
হান্নান শাহ বলেন, আমরা যেমন শতভাগ নিশ্চিত আমাদের প্রার্থীরা সিটি নির্বাচনে জয়ী হবে, তেমনি সরকারও তার গোয়েন্দা সংস্থা ও নির্বাচনী মাঠ জরিপে বুঝতে পেরেছে তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে। তাই বিএনপিকে সিটি নির্বাচন থেকে সরানোর পাঁয়তারা করছে।তিনি বলেন, সম্প্রতি খালেদা জিয়ার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ও হামলা চালানোর ঘটনা পরিকল্পিত। ইচ্ছা করেই ট্রাফিক পুলিশ সিগন্যাল ফেলে সরকার সমর্থিত সন্ত্রাসীদের হামলা চালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। তখন তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের দুই একজনকে পুলিশের সঙ্গে তাল মিলাতেও দেখা গেছে।বিএনপির এ শীর্ষনেতা বলেন, ৫ জানুয়ারি দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাই জনগণ ২৮ এপ্রিল সিটি নির্বাচনে ভোট দিয়ে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে হরণকৃত ভোটাধিকারের বদলা নেবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত ধোকার শামিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঢাকা সিটিতে ভোটযুদ্ধ হবে। কাজেই ক্যান্টনমেন্টে সেনা সদস্য রেখে সিটি নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিশ্চিত হতে পারে না।