দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ এপ্রিল: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি বুধবার শুরু হয়েছে।বিচারপতি মো. ইুরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে আজ এ শুনানি শুরু হয়। মামলার কার্যক্রম বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছে।দুদকের পক্ষেআইনজীবী খুরশীদ আলম খান ক এ কথা জানান।বুধবার এ মামলার শুনানি বেলা আড়াইটায় শুরু হয়। কিছুক্ষণ শুনানি করে এ মামলার কার্যক্রম আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।পরে আদালত থেকে বেরিয়ে ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। আমরা এ মামলার ওপর আজ কিছু শুনানি করেছি। আগামীকাল আবার শুনানি করবো।
প্রসঙ্গত, ১/১১ এর জরুরি অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে।শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। এতে চারদলীয় জোট সরকারের স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মরহুম), অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মরহুম), শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন। পরবর্তী সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি সংক্রান্ত তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে মামলা গুলোর বিচারিক কার্যক্রম আটকে যাওয়ার দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করা হয়। পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট।একই সঙ্গে মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা হয় রুল।