দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২২ এপ্রিল: সরকার চলতি মওসুমে আউশ ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারাদেশে ৪৮ জেলার প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণের জন্য ভর্তুকি হিসেবে ৩০ দশমিক ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মধ্য এপ্রিল থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত আউশ মওসুম।বরাদ্দকৃত মোট টাকার মধ্যে প্রায় ২৪ দশমিক ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে স্থানীয় জাতের আউশ ধান চাষে এবং বাকী ৫ দশমিক ৯১ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে আফ্রিকান নতুন জাতের আউশ ধান চাষে।
কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বুধবার তার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন।মন্ত্রী বলেন, সরকারী ভর্তুকির আদেশ ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ৪৮টি জেলায় পাঠানো হয়েছে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই অর্থ বরাদ্দ শুরু হবে।মোট ২ দশমিক ১০ লাখ চাষীর মধ্যে ১ দশমিক ৮০ লাখ চাষী স্থানীয় জাতের আউশ ধান চাষের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবে, বাকী ৩০ হাজার চাষী আফ্রিকান জাতের আউশ ধান (নেরিকা) চাষের জন্য অর্থ সহায়তা পাবে।২ দশমিক ১০ লাখ বিঘা জমিতে আউশ ধানের চাষ করা হবে। এর মধ্যে ১ দশমিক ৮০ লাখ বিঘা জমিতে করা হবে ¯’ানীয় জাতের আউশ ধানের চাষ এবং বাকী ৩০ হাজার বিঘা জমিতে করা হবে নেরিকা জাতের আউশ ধানের চাষ।
মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, একজন কৃষক ২০ কেজি ইউরিয়াসহ ৫ কেজি বীজ ও ৪০ কেজি সার পাবে। প্রতি বিঘা জমিতে দেশী জাতের আউশ ধানের চাষ করার জন্য ১ হাজার ৩৫০ টাকা মূল্যের ১০ কেজি এমওপি এবং ডিএপি পাবে। পাশাপাশি নেরিকা জাতের আউশ ধান চাষের জন্য ১ হাজার ৯৭০ টাকা মূল্যের ৪০ কেজি সার এবং ১০ কেজি বীজ পাবে।পাশাপাশি সরকার সেচ সহায়তা হিসেবে প্রত্যেক কৃষককে ৪শ’ টাকা করে দেবে।মন্ত্রী বলেন, চাষীদের এই ভর্তুকি দেয়ায় দেশে ৭০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত চাল উৎপাদন হবে।সংবাদ সম্মেলনে কৃষি সচিব ইউনুসুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম-সচিব পুলক রঞ্জন সাহা এবং কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মহাপরিচালক মোমতাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।