image_114808_0

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ এপ্রিল: যৌন নিপীড়নে জড়িতদের গ্রেফতার, বিচার ও দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশের বিচার দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের দেওয়া স্মারকলিপি গ্রহণ করে মঙ্গলবার দুপুরে এসব কথা বলেন তিনি।ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক, সাধারণ সম্পাদক লাকি আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি লিটন নন্দীসহ সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় ৬ নেতা এ স্মারকলিপিটি জমা দেন।স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কাঙ্ক্ষিত ভিডিও ফুটেজ পেলে পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কাঙ্খিত ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। যে ফুটেজ পাওয়া গেছে, তাতে বিবস্ত্র করার কোনো দৃশ্য নেই।যদি কারও কাছে কাঙ্ক্ষিত ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য থাকে তাহলে ঘটনার তদন্তের স্বার্থে তা পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার আহবানও জানান প্রতিমন্ত্রী।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পহেলা বৈশাখের এ ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটানো হয়েছে।

পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আবার প্রশংসাও রয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টায় অনুষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মানা হয়নি। আর ঘটনার দিন এতো ভিড় ছিল যে, গায়ে গায়ে লেগে মানুষ চলাচল করেছে।বিবস্ত্র করার মতো ঘটনা ভিডিওতে দেখা যায়নি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিডিওতে দেখেছি, একজনের ওড়না টেনে ধরা হয়েছিল। অন্যজন তা ঠিক করে দিয়েছেন। মানুষের বিবেক কী এতো কম যে কেউ তা দেখবে না, প্রতিবাদ করবে না- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফুটেজ দেখেছি। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। কাঙ্ক্ষিত ফুটেজ পেলে ব্যবস্থা নেবো। কারো কাছে কাঙ্ক্ষিত ফুটেজ বা ছবি থাকলে কিংবা কেউ দেখলে মহানগর পুলিশের কাছে তথ্য দেওয়ার আহবান জানান প্রতিমন্ত্রী।ভিডিও ফুটেজ শুধু ভিডিও করার জন্য নাকি তাৎক্ষণিকভাবে মনিটর করা হয়- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন বসে মনিটর করেন। বিষয়টি আমরা দেখছি।

সার্বজনীন এ অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা কেনো ঘটানো হলো জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হচ্ছে।এর আগে ঢাবিতে এক সমাবেশে মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে বুধবার মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেয় ছাত্র ইউনিয়ন। সমাবেশ শেষে সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে প্রেসক্লাবের পাশে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের।পরে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ৬ জনকে সচিবালয়ে প্রবেশ ও স্মারকলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ।