1429619769

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ এপ্রিল: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে সমন্বয় সাধন করলে জনস্বাস্থ্য ব্যব¯’ার উন্নয়ন ঘটিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব।তিনি বলেন, সেবার মনোভাব নিয়ে চিকিৎসা করলে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা থাকবে এবং চিকিৎসা আরও সহজ ও উন্নত হবে।মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শাহ্বাগের বিএসএমএমইউ’র বি-ব্লকের শহীদ ডা. মিল্টন হলে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান এ কথা বলেন।চিকিৎসা ও মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতমানের হলে সুস্বাস্থ্য গঠনে ভবিষ্যৎ চিকিৎসকরা আরও দক্ষ ও দায়িত্বশীল হয়ে গড়ে উঠবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, এতে সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে।স্বাধীনতার পর দেশের চিকিৎসাখাত অনেক এগিয়েছে উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার রোগী হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন এবং গতবছর দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আগত প্রায় ৩০ হাজার নানা রোগে আক্রান্ত রোগী এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।আগত রোগীর নিরাপত্তাবিধানসহ উন্নতমানের চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের সেবার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

উপাচার্য বলেন, হাসপাতালকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে গবেষণার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি ৫২৫ কোটি টাকা বাজেটে পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি ৩১টি নতুন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট চালু, ৩০টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার (ওটি) চালুর পাশাপাশি বার্ণইউনিট ও আইসিইউ সীট বৃদ্ধি করা হয়েছে।মতবিনিময় সভায় উপÑউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন মিয়া, উপÑউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ্ সিকদার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন।উপÑউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল।লাহ্ সিকদার বলেন, এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হচ্ছে। আরও কিছু গবেষণা হবে বিশ্বমানের। সেলক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অনেক চিকিৎসক নিজ উদ্যোগে গবেষণার কাজে সম্পৃক্ত আছে।এসময় তিনি বিএসএমএমইউতে গবেষণার পরিধি আরও বাড়ানোর উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।মতবিনিময় সভায় প্রিন্ট ও ইলেট্্িরক, অনলাইন ও সংবাদসংস্থার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।