DoinikBarta_দৈনিকবার্তা Lotus-Kamal

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ এপ্রিল:  চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)শতভাগ বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি ও ব্যয় বিবেচনায় সর্বনিম্ন অগ্রগতি সম্পন্ন ১০টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মন্ত্রণালয়গুলো প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশ অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। আমরা আশা করছি শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন করতে পারব। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় তাদের অনুকূলে মোট বরাদ্দ বাস্তবায়ন সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এডিপির কাঙ্খিত বাস্তবায়ন করতে আমরা তৎপরতা চালাচ্ছি। আর এজন্য বেশি বরাদ্দ পাওয়া ১০ মন্ত্রণালয় ও ব্যয়ের দিক থেকে সর্বনিম্ন অগ্রগতি সম্পন্ন ১০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে আজ বৈঠক করা হয়েছে।তিনি বলেন, মূল এডিপির ৭১ শতাংশ ১০টি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ আছে। এ ১০টি মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতির ওপর নির্ভর করবে মোট এডিপির বাস্তবায়ন হার। তাই আমরা মন্ত্রণালয় ১০টি এবং ব্যয়ের দিক থেকে সর্বনিম্ন অগ্রগতি সম্পন্ন ১০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগকে প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাড়ানোর জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৩ শতাংশ।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, চলতি অর্থবছরে সংশোধিত এডিপি হচ্ছে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী বছর কিছু মেগা প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে। এজন্য অতিরিক্ত আরও ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা বেশি লাগতে পারে। তাই আগামী অর্থবছরে এডিপির আকার হবে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা।মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাস্তবায়ন কার্যক্রম দেখে আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ দেয়া হবে। আগামী বছরে বিভিন্ন নতুন প্রকল্প নেয়া হবে। ঢাকা শহরসহ বড় বড় শহরের নামীদামি স্কুলগুলোতে ভর্তি সঙ্কট প্রকট। এজন্য সরকার এসব স্কুলগুলোর ভবনকে ১৫ থেকে ২০ তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ করবে।মুস্তফা কামাল বলেন, আগামীতে সংসদ সদস্যদের অগ্রাধিকার দিয়ে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় একজন সংসদ সদস্য পাঁচ বছরে মোট ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাবে। তবে তিনি সরাসরি একটি টাকাও ব্যয় করতে পারবেন না। তিনি তার চাহিদা এলজিইডিকে জানাবেন। এলজিইডি প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করবে।বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, আইএমইডির সচিব শহীদুল্লা খন্দকার, পরিকল্পনা সচিব সফিকুল আযম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আরাস্তু খান প্রমুখ।