দৈনিকবার্তা- চট্টগ্রাম, ২১ এপ্রিল: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল ঘোষণার কেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) জিমনেসিয়াম পরিবর্তন করে করে তিনটি বিকল্প জায়গা প্রস্তাব করেছে বিএনপি।মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ও দলসমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে দেখা করে এই প্রস্তাবসম্বলিত চিঠি দেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ,দামপাড়া জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের নিচতলা ও পাঁচলাইশ জাতিসংঘ পার্কে সিটি করপোরেশনের জিমনেসিয়াম- এই চারটির যে কোনো একটিকে বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এসময় আমীর খসরু বলেন, অতীতে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামসংলগ্ন জিমনেসিয়াম থেকে মেয়র নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হলেও এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।এবারে সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থী। সেখানে যেসব কর্মচারী আছেন তারা সকলেই ওই প্রার্থীর অনুগত। এমনকি আশেপাশের দোকানপাট বা খাবারের দোকান দলীয় অনুগতদেরই দেওয়া হয়েছে।ওই এলাকা থেকে ভোট গণনার যৌক্তিকতা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আমীর খসরু বলেন,সে কারণেই আমরা বিকল্প প্রস্তাব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দিয়েছি।নগর বিএনপির সভাপতি বলেন, সিজেকেএস জিমসনেসিয়ামে ভোট গণনা হলে তা নিরপেক্ষ না হওয়ার এবং তাতে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা রয়েছে।এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেনকে সরকারদলীয় প্রার্থীর কর্মী সমর্থক আখ্যায়িত করে এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, পুলিশ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি প্রার্থীর কর্মীদের উপর হামলা করছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ তালিকা করে বিএনপির কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন এসব বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে যারা বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নানাভাবে হয়রানি করছে।অদৃশ্য নির্দেশনায় এ কাজ করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, শুনেছি প্রতিটি থানায় বিএনপিকর্মীদের তালিকা করা হচ্ছে। তারা প্রচারণায় অংশ নিতে না পারার জন্য এ পরিস্থিতি করা হচ্ছে।বিভিন্ন সময়ে সরকারদলীয় মেয়রপ্রার্থী বা তাদের প্রচারণায় থাকা ব্যক্তিরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১৫টি লিখিত অভিযোগ দিলেও এর বিপরীতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি না।বিএনপির কাছে নির্বাচন কমিশন এখনো প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করেন তিনি।খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার কথা তুলে আমীর খসরু বলেন, সরকারি দল আর জনগণের ওপর আস্থা রাখছেন না। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেছে নিয়েছেন।আইনের শাসন না থাকলে নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে জনগণেরও প্রশ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার স্থান ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিবর্তন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, নিরাপত্তা, যোগাযোগ এবং সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে সিজেকেএস জিমনেসিয়াম বিবেচনা করা হয়েছে।