দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ এপ্রিল: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মেরি হার্ফ বলেছেন,বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।সব রাজনৈতিক দলকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে হার্ফ বলেন, খালেদার গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় তাবিথ আউয়ালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে কারওয়ান বাজারে দূর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন খালেদা জিয়া। হামলাকারীরা সরকারদলীয় বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেলেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হন। বিএনপি নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগকে হামলার জন্য দোষারাপ করলেও তা অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটাকে নাটক বলে মন্তব্য করেছেন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, সিটি নির্বাচনের প্রচারে নামা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা সবিস্তারে কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরেছে বিএনপি।কারওয়ান বাজারে হামলার পরদিন মঙ্গলবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কূটনীতিকদের ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের কাছে বিএনপির বক্তব্য তুলে ধরেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস কাদের চৌধুরী।যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, তুরস্ক, জাপান, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, সৌদি আরব, কাতার, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৭টি দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেখানে ছিলেন।
বৈঠকের পর ওই কার্যালয়ের আঙিনায় রাখা বিএনপি চেয়ারপারসনের নিশান গাড়িটি কূটনীতিকদের দেখানো হয়। ওই গাড়ির কাচে একটি দাগ দেখিয়ে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে লক্ষ করে সোমবার গুলিও করা হয়েছিল।এই হামলার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে বিএনপি। অন্যদিকে মন্ত্রীদের বক্তব্য, অবরোধ-হরতালে নাশকতায় ক্ষুব্ধ জনতার ওপর খালেদার নিরাপত্তা রক্ষীরা চড়াও হলে মারামারি বাঁধে।হামলায় ভাংচুর হওয়া খালেদার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী সিএসএফের চারটি মাইক্রোবাসও দেখানো হয় কূটনীতিকদের।তবে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কিছু বলা হয়নি।এদিকে সিটি নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন ঢাকায় যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রবার্ট গিবসন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করেছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার নির্বিঘ্ন করতে নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোটে জনগণ পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন গিবসন।