DoinikBarta_দৈনিকবার্তা Shochib-1424783328

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ এপ্রিল: আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো.সিরাজুল ইসলাম। সোমবার নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে মাগুরা-১ আসনের তফসিল ঘোষণার সময় তিনি এ কথা জানান।তিনি বলেন, সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে এখনো চুড়ান্ত সিন্ধান্ত হয়নি। সিইসি স্যার গণমাধ্যমকে যে সময়সীমা বেধে দিয়েছেন এর মধ্যে সেনা মোতায়ন হবে কি না এ বিষয়ে জানানো হবে।আচরণবিধি নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমাদের ১২টি মোবাইল টিম কাজ করছে। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট, রিটার্নিং কর্মকর্তারাও দায়িত্ব পালন করছে। প্রতিদিন আমাদের কাছে রিপোর্ট জমা হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারণা বাধা দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি কোনো পদক্ষেপ নিবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। যদি লিখিত আকারে অভিযোগ আসে আমরা তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এদিকে, ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বাধা দেওয়ার ঘটনার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।সোমবার বিকেলে ইসির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম এ কথা বলেন। রোবাবর গুলশান-২ এর পিংক সিটিতে প্রচারণা চালানোর পর একদল লোক খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের গতিরোধ করে কালো পতাকা প্রর্দশন করে। এসময় তারা খালেদার গাড়িও থামিয়ে দেয়।

এ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী তাবিল আউয়াল সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার প্রচারণা চালানোর সময় গাড়িবহরকে বাধা দেওয়া হয়েছিলো এবং অশ্লীল পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিলো।বিয়য়টি তুলে ধরা হলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে যদি এই রকম কোনো অভিযোগ আসে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। লিখিত অভিযোগ আসতে হবে। কেননা, প্রমাণ লাগবে। আমরা সে প্রমাণের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেবো।এদিকে সোমবারও কারওয়ান বাজারে গণসংযোগকালে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

আচরণ বিধির বিধি ৬ অনুযায়ী, প্রচারণার ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থী প্রতিপক্ষের পথসভা বা ঘরোয়া সভা বা অন্যান্য প্রচারাভিযান পণ্ড বা এতে বাধা দিতে পারবে না।এক্ষেত্রে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা ছয়মাসের জেল অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। এছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন।মাগুরা-১ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করেছিলো নির্বাচন কমিশন। মাগুরা-১ আসনের উপ নির্বাচন আগামী ৩০ মে অনুষ্ঠিত হবে।