DoinikBarta_দৈনিকবার্তা Gazipur-(4)- 20 April 2015-Mandir news-2

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ২০ এপ্রিল: গাজীপুরে রবিবার দিবাগত রাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে ও কয়েকটি বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো: নূরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো: হারুন অর রশীদ, জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বনগ্রামের বাসিন্দা সুনীল চন্দ্র বর্মনসহ স্থানীয়রা জানায়, রবিবার দিবাগত রাতে গাজীপুর মহানগরের বনগ্রামের ‘বনগ্রাম শ্রী শ্রী সুধন্য কৃপাময়ী কালী মন্দির’এলাকায় গিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩টি মাইক্রোবাসযোগে ৫০/৬০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তাদের মধ্যে কয়েক জন ‘পুলিশের পোশাকের মতো’ পোশাক পড়া ছিল। পরে সন্ত্রসীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে সুরেন্দ্র চন্দ্র বর্মনের বাড়ির টিভি ফ্রিজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং নগদ টাকা লুটপাট করে। এসময় তারা পাশের মন্দির ও লাল মোহন বর্মন, সুনীল চন্দ্র বর্মন, সতীন্দ্র বর্মন, নিরঞ্জন চন্দ্র বর্মনসহ ২০/২৫ টি বাড়িতে ও ৫টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ৬জন আহত হন। হামলাকারীরা কালী মন্দিরের কালী প্রতিমা, মহাদেব ও রাগিনী যোগিনীসহ ৪টি প্রতিমা ভাংচুর করেছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহতদের মধ্যে স্থানীয় আসাদুল হক (৫০), রফিকুল ইসলাম (২৮), রাসেল মিয়া (৩০), মুজিবুর রহমান (৫০) ও মিস্টারের (৩৫) অবস্থা গুরুতর।

একই গ্রামের আমজাদ জানান, প্রায় দুই মাস আগে সুরেন্দ্র চন্দ্রসহ কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রফিকুলসহ কয়েক জনের নামে মামলা হয়। তিনি ওই মামলার স্বাক্ষী। ওই মামলা তুলে নেয়ার জন্য তারা একাধিকবার তাকেসহ বাদী হুমকি দিয়েছিল। এ ঘটনার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তার ধারণা।এব্যাপারে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি মনীন্দ্র চন্দ্র মন্ডল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ও জড়িত দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান, রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। রফিক অস্ত্র মারামারিসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী। গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সত্যজিত রায় দাশ জানান, সোমবার ৪টার দিকে গাজীপুরের জেলা প্রসাশক মো: নূরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় জেলা আহতদের চিকিৎসার খরচ বাবদ তাৎক্ষণিকভাবে সাড়ে ১২হাজার টাকা প্রদান এবং মন্দির ও প্রতিমা নির্মানের জন্য যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের আশ্বাস নিয়েছেন।