দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ এপ্রিল: দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাচনী প্রচারে কালো পতাকা প্রদর্শন ও চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করাকে অনভিপ্রেত, উদ্দেশ্যমূলক ও উসকানিমূলক বলে অভিহিত করেছে বিএনপি। এসব বন্ধ করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়েছে দলটি। সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন এক সংবাদ সম্মেলনে দলের বক্তব্য তুলে ধরেন। এসময় তিনি অভিযোগ করেন, সকাল থেকে তাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসার সামনে থেকে নিয়মিত নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচার চালাতে গিয়ে রোববার উত্তরায় কয়েক দফায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কালোপতাকা বিক্ষোভের মুখে পড়েন খালেদা জিয়া। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া বাস পুড়িয়ে বাস প্রতীকে ভোট চান কীভাবে?এসব প্রসঙ্গ টেনে আসাদুজ্জামান বলেন, এ ধরনের আচরণ নির্বাচনের পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তুলছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন সরকারী কোনো পদে নেই। তাই আইন অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারে তাঁর কোনো বাধা নেই।
আসাদুজ্জামান অভিযোগ করেন,সকাল থেকে খালেদা জিয়ার বাসার নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটি ইঙ্গিতপূর্ণ। তবে তাঁরা ঠিক নিশ্চিত নন রুটিন মাফিক পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কি না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী।তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের।এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান কাছে অভিযোগ করেন, সকাল সাতটা থেকে খালেদা জিয়ার বাসার সামনে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কেন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি। বাস পুড়িয়ে আবার বাস মার্কায় ভোট চায় শীর্ষক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচারণা বিষয়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য, নির্বাচনী প্রচারণায় খালেদা জিয়ার অংশ নেয়াকে কেন্দ্র করে সরকারের কতিপয় মন্ত্রীর অশালীন ও উল্টাপাল্টা বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।এ সময় রোববার উত্তরায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় খালেদা জিয়াকে কালো পতাকা প্রদর্শন এবং পথে পথে তার গাড়িবহরকে বাধা দেয়ার প্রতিবাদ জানান রিপন।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এ সব ঘটনার মাধ্যমে শাসক দল নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়ার পরিকল্পনা করছে।এ ছাড়া বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের গ্রেফতার, বিভিন্ন কাউন্সিলর প্রার্থীদেও প্রচারণায় বাধা দেয়ার ঘটনারও তীব্র নিন্দা জানান তিনি।তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এসব ঘটনা সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টাকে ভূলুন্ঠিত করবে। এছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় দেয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান রিপন। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল(অব.) মাহমুদুল হাসান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।