দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ এপ্রিল: সিটি নির্বাচনের আগে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নিয়োগ, দোকান বরাদ্দ ও উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন এ দাবি জানান।রিপন বলেন, আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর কোনো উন্নয়নকাজ বা নিয়োগ দেওয়া যায় না। কিন্তু ঢাকায় তা মানা হচ্ছে না। ১০৯ জনকে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, সরকার ধরে নিয়েছে ২৮ এপ্রিলের নির্বাচনে তাদের ব্যাপক ভরাডুবি হবে। জনগণ তাদের ভোট দেবে না। এ কারণে ডিসিসি এপ্রিল ফাইনালে ব্যস্ত। কারণ মে মাসে নতুন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আসবেন।২৮ এপ্রিলের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে দোকান বরাদ্দ, মসজিদ-মন্দিরে অনুদান, নিয়োগ প্রক্রিয়া ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা মনে করবো, নির্বাচন কমিশন সরকারদলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছে।ড. রিপন বলেন, এই সিটি নির্বাচন ফাইনাল খেলা। আর এ খেলায় আওয়ামী লীগ হেরে যাবে বলেই সিটি করপোরেশন এলাকায় তড়িঘড়ি উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ১০৯ জনকে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে।সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগরীর বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান রিপন।ড. রিপন বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও দোকান বরাদ্দ ও উন্নয়নমূলক কাজ সরকার করতে পারে না। এটা কোনো নিয়মের মধ্যে পড়ে না। তাই অনতিবিলম্বে এ প্রকল্পগুলোর কাজ বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার ধরেই নিয়েছে ২৮ এপ্রিল তাদের ভরাডুবি হবে। আওয়ামী লীগকে জনগণ না করবে। তাই সরকার মে মাসের আগে কাজ শেষ করতে এপ্রিলেই ফাইনাল খেলায় মেতে উঠেছে। যাতে নির্বাচিত মেয়রদের জন্য কোনো প্রকল্প বা অর্থ বরাদ্দ না থাকে।সিটি করপোরেশন যে ১০৯ জন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের ক্যাডার বলেও দাবি করেন রিপন।প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে সে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আপনি সম্মতি দেবেন না। যদি সম্মতি দেন তাহলে আমরা বুঝবো আগের মতোই সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে আপনারা কাজ করছেন।
শনিবার বিকেলে জর্জকোট এলাকায় মির্জা আব্বাসের কর্মীদের কাছ থেকে সরকার দলীয় লোকজনের লিফলেট ও মাইক ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে রিপন বলেন, সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আশেপাশে উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।তিনি বলেন, জনগণের নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। যাতে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়। কিন্তু নিয়মানুযায়ী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাজ করছে না ইসি। সরকার দলীয় প্রার্থীরাই নিয়ম লঙ্ঘন করছেন বেশি। সেই খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও ইসির চোখে পড়ছে না।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার হায়দার আলী, সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।