দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ এপ্রিল: বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেন নারী ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে যেতে না পারে, সেজন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে ন্যক্কারজনক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। রোববার বেলা ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মা, বোন ও শিশু-কিশোরদের ওপর যৌন নির্যাতন ও বিবস্ত্র করার প্রতিবাদ’শীর্ষকএমানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশজীবী পরিষদ।এমাজউদ্দিন আরো বলেন, কিছু সংখ্যক নর্দমার কিটের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে নষ্ট হতে দিতে পারি না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব ও ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ছাত্রীদের অপমান করেছে তারা শুধু কোমলমতি মেয়েদের অপমান করেনি, পুরো জাতিকে অপমান করেছে। এ ঘটনা শুনার আগে আমার মৃত্যু হওয়া উচিত ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে টিএসসি মোড়ে আগত মা-বোন-শিশু-কিশোরদের গণহারে শ্লীলতাহানির সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমাজউদ্দীন বলেন, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এ ধরনের ঘটনা হতে পারে না। অনেকে বলছে, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে মেয়েদের বিরত রাখতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি মনে করি এটা অসম্ভব কিছু না। এদের পক্ষে (সরকার) সম্ভব।তিনি বলেন, যে উদ্দেশ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হোক না কেন এটা মেনে নেওয়া যায় না।
জড়িতদের শাস্তির দাবি করে এমাজউদ্দিন বলেন, আমি সরকারকে পদত্যাগ করতে বলবো না। তবে তাদের কাছে এই দাবি জানাবো ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।