দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ এপ্রিল: র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, চট্টগ্রাম ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই।নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে (ইসি) আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বৈঠক শেষে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।শেরেবাংলা নগরের এনইসি মিলনায়তনে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনারও ছিলেন।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় পুলিশ ও র্যাবই যথেষ্ট মন্তব্য করে জিয়াউল আহসান বলেন, সেনাবাহিনীকে মানুষ নামে ভয় পায়। আর র্যাবকে কাজে ভয় পায়। সুতরাং নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন হবে বলে মনে করি না। এ ছাড়া বিজিবিও থাকবে।তিনি বলেন, যারা পেট্রোলবোমা মারে, জ্বালাও- পোড়াও করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। এরা সেনাবাহিনীকে নামে এবং র্যাবের কাজে ভয় করে। এ কারণে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন নেই।তিনি বলেন, সহিংসতা যারাই করুক সবাই আমাদের হাতে ধরা পড়বে।পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে েেরাববার বেলা ১১টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বেশির ভাগ সদস্যই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে বেশ কয়েকজন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী ইতিমধ্যেই নির্বাচনের আগে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে। বিএনপি আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মেতায়েনের দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে এর বিপক্ষে মত দিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। ভোটে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন না জানিয়ে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি নিজেও সেনাবাহিনীর লোক। র্যাবকে সবাই কাজে ভয় পায়, সেনাকে নামে ভয় পায়। সুতরাং সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই।ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটিতে ভোটের সময় নিরাপত্তায় সেনা মোতায়েনের দাবি এসেছে বিএনপিসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে।বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বলেছেন, সেনা মোতায়েন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
শনিবার চট্টগ্রামে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের এক সংবাদ সম্মেলনেও নির্বাচনের কয়েবকদিন আগে থেকে সেনা মোতায়েনর দাবি জানানো হয়।একই দাবি জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসও। ভোটের আগে-পরে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনায় চার স্তরের নিরাপত্তার পরিকল্পনা নিলেও তাতে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি রাখেনি ইসি।কর্নেল জিয়া বলেন, ভেতরে (বৈঠকে) সবাই তিন সিটির ভোটে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে মত দিয়েছেন।এ নির্বাচনে সব প্রার্থীই জেতার চেষ্টা করবে, এজন্য কেউ গণ্ডগোল করবে না। যে গণ্ডগোল করবে তাকেই ধরা হবে।যারা জ্বালাও- পোড়াও চালায়, গাড়িতে পেট্রোল বোমা মারে, তাদের দমন করতে পারলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মহা পুলিশ পরিদর্শক, সশস্ত্রবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।