দৈনিকবার্তা-মানিকগঞ্জ, ১৯ এপ্রিল: চালকের বেপরোয়া গতির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। তিনি বলেন, এখানে প্রকৌশলগত কোনো ত্র“টি নেই।রোববার বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাথুলি নামক দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। শনিবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাথুলী নামক স্থানে দুটি বাসের মাঝে পড়ে চিড়েচ্যাপ্টে যায় মানিকগঞ্জগামী একটি প্রাইভেট কার। সেই প্রাইভেট কারের ৯ আরোহীর মধ্যে মারা যায় চালকসহ আটজন। যাদের ছয়জনই একই পরিবারের সদস্য।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্ঘটনাপ্রবণ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুর্ঘটনা রোধে অপ্রসস্ত বাকগুলোকে সরলিকরণ করা হয়েছে। যার ফলে এ সড়কে দুর্ঘটনা অনেক কমে এসেছে। তবে কি কারণে দুর্ঘটনা ঘটলো তা সরেজমিনে দেখতে মন্ত্রী ঘটনাস্থলে আসেন।মন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। দুটি বাস চালকই পলাতক রয়েছেন। তাদের খোঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। আটঘাট বেধে মটরযান অধ্যাদেশকে আরো শক্তিশালী করা হবে।মন্ত্রী বলেছেন, মরণফাঁদ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ককে মডেল সড়কে পরিণত করেছি। ডিভাইডার দিয়েছি। আমি এ ঘটনার সময় চট্টগ্রামে ছিলাম, শোনার পর খুব অস্বস্তি লাগে। এতো কাজ করার পরও কেন দুর্ঘটনা ঘটলো তা দেখতে চট্টগ্রাম থেকে আমি ছুটে এসেছি।তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকসহ সবার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম চালকের বেপরোয়া গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।মন্ত্রী বলেন, আমি ঢাকার ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছি, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। ইতোমধ্যে হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ ও পরিবহণ শ্রমিক নেতার সমন্বয়ে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। দেশবাসী জানে তদন্ত কমিটির প্রতি কোনো আস্থা নেই। কমিটির রিপোর্ট সময় মতো প্রকাশ করা হয় না। আর প্রকাশ করা হলেও সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হয়না। তবে এক্ষেত্রে আমরা ‘সিরিয়াস’।তিনি বলেন, মটরযান অধ্যাদেশকে আরো কঠোর করা হচ্ছে। আইনের দুর্বলতা এবং ফাঁক ফোঁকরের কারণে ঘাতক চালকরা পার পেয়ে যাচ্ছে। তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না। তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে এবং আইনটি দ্রুত সংসদে পেশ করা হবে।মন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের স্বজদের প্রতি সমবেদনা জানান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণায় নামায় নির্বাচনী লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকছে না। কারণ, দেশবাসী খালেদা জিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই ভাবেন। সে অর্থে আইনগত বিধি বিধানের কারণে ইচ্ছা থাকলেও নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে নামছেন না। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড কতটুকু বজায় থাকবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন মন্ত্রী।