দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ এপ্রিল: স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।শুক্রবার জার্মানীর বার্লিনে ইন্টারন্যাশনাল জি৭/২০ পার্লামেন্টারিয়ানস কনফারেন্স অন এমপাওয়ারিং ওমেন গার্লস টু লীড সেলফ-ডিটারমাইন্ড, হেলদি এন্ড প্রডাক্টিভ লাইভস শীর্ষক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে বক্তৃতাকালে স্পিকার এ আহ্বান জানান।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউরোপিয়াপন পার্লামেন্টারী ফোরাম অন পপুলেশন এন্ড ডেভলপমেন্ট ( ইপিএফ) এবং জার্মান অল পার্টি পার্লামেন্টারিয়ানস অন পপুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।জার্মান পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া রোথ, এমপি দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন।স্পিকার বলেন, জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন জোরদার করতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে যাতে আগামী দিনে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সরকারের নীতিগত সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক ও পারিবারিক পরিমন্ডলেও নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসেই জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। বাংলাদেশ এমডিজি লক্ষ্য অর্জনে এবং এমডিজি পরবর্তী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে অনেক দূর এগিয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে আর্থ-সামাজিক সকল ক্ষেত্রে আজ নারী পুরুষের ব্যবধান কমে আসছে। সরকার গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলেই এটা সম্ভব হচ্ছে।স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে প্রজনন অধিকার ও প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষা, সামাজিক ও স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস এবং বাল্যবিবাহ রোধে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সরকার নারীদের জন্য সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ সৃষ্টি, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান, আবাসিক সুযোগ সুবিধাসহ ডে কেয়ার সেন্টার, দুগ্ধ-মাতাদের (ল্যাক্টেটিং মাদার) প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদানসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করে চলেছে।প্যানেল বক্তাগণ মাতৃ ও শিশুমৃত্যুহার হ্রাস এবং প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।